বাংলাদেশ বার্তা ১৬,২০১৬: ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতু লাখো মানুষের কত উপকারে আসে সেতুটি। অথচ কেউ এ সেতুর উপকারে এগিয়ে আসছেন না। ধুকে ধুকে মরছে এ সেতুটি। ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত শতবর্ষী এ সেতুটির নিরব কান্না কারো চোখে পড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধসহ বহু কালজয়ী ইতিহাসের নিরব সাক্ষী এ সেতুটির দিকে ফিরে থাকানোর সময় নেই সংশ্লিষ্ট কর্তাদের। যদিও এ সেতুটি নিথর দেহ নিয়ে একটু সংষ্কারের আশায় প্রহর গুনছে।
এশিয়ার মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত বিখ্যাত হালদা নদী। এ নদীর ওপর ফটিকছড়ি- হাটহাজারী উপজেলাদ্বয়ের সেতু বন্ধন হয়ে এখনো দাড়িঁয়ে আছে নাজিরহাট পুরাতন সেতুটি। এ সেতু দিয়ে দু’উপজেলার লাখো মানুষ প্রতিদিন যাতায়ত করছেন।
এছাড়াও, নাজিরহাট পৌরসভার প্রধান প্রবেশপথ সেতুটি। নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, নাজিরহাট জেএম আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসা, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা (কওমি), নাজিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ কমপক্ষে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও নাজিরহাট বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আসা যাওয়া করে থাকে হাজার হাজার জনগোষ্ঠি।
এ সেতুটির পার্শ্বে আরেকটি সেতু নির্মিত হবার প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে ভুক্তভোগী চরম বিরক্ত। যে কোন সময় সেতুটি ধসে বড় ধরনের দূঘর্টনার আশংকা রয়েছে। এ সেতুটি ভেঙে পড়লে বৃহত্তর ফটিকছড়ি-হাটহাজারীর মত বৃহৎ দুটি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। এছাড়া আরো শত শত শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার আংশকা রয়েছে। একই সাথে নাজিরহাট বাণিজ্যিক জনপদে ব্যবসা বাণিজ্যেও ধস নামবে। সবমিলিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে নাজিরহাট কেন্দ্রিক কয়েক লাখ মানুষ।
এ বিপর্যয় মোকাবেলা করতে এবং দু’উপজেলার লাখো মানুষের জীবন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সেতুটি সংষ্কার জরুরী। সেতুটির ১’শ গজ উপরে ভারী যানবাহন চলাচলের সুবির্ধার্থে আরো একটি নতুন সেতু নির্মাণ করার দাবী দিয়েছেন এলাকাবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন