বাংলাদেশ বার্তা: দৈনিক ইত্তেফাকে এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বরাত দিয়ে অনলাইন পত্রিকা আমাদের সময়.কম-এর ১ম পৃষ্ঠায় “সরকার উৎখাতে এবার ‘মোসাদ’র অর্থায়ন” শিরোনামে আজ ৫ মে প্রকাশিত রিপোর্টে “১৮ মার্চ লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্রিজ রোডের পার্ক প্লাজা হোটেলের ১১৪৫ নম্বর রুমে বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সিঙ্গাপুর ইস্যুতেও জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।” মর্মে যে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম গতকাল ৫ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক ইত্তেফাকে এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বরাত দিয়ে অনলাইন পত্রিকা আমাদের সময়.কম-এর রিপোর্টে উল্লেখিত গত ১৮ মার্চ লন্ডনে বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার রুমে অনুষ্ঠিত বলে কথিত বৈঠকের সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নেই। কাজেই ঐ বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতার উপস্থিত থাকার প্রশ্নই আসে না। দৈনিক ইত্তেফাকে এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বরাত দিয়ে অনলাইন পত্রিকা আমাদের সময়.কম-এর রিপোর্টে কথিত সিঙ্গাপুর ইস্যুতে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে মর্মে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কথিত সিঙ্গাপুর ইস্যুর সাথে জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই দৈনিক ইত্তেফাকে এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বরাত দিয়ে অনলাইন পত্রিকা আমাদের সময়.কম-এর রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। অনিয়মতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিকে জামায়াত সব সময়ই ঘৃণা করে।
১/১১ মত রাজনৈতিক দলসমূহকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। লন্ডনের বারের রুমে মিটিং করার কথা উল্লেখ করে সেখানে যে একজন জামায়াত নেতার উপস্থিতির কথা লেখা হয়েছে, আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে চাই, সৎ সাহস থাকলে সে জামায়াত নেতার নাম জাতির সামনে প্রকাশ করা হোক। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, মোসাদের সাথে জামায়াতের কোন ধরনের সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না।
তাই জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক ইত্তেফাক ও অনলাইন পত্রিকা আমাদের সময়.কম কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন