ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১৬

মাওলানা নিজামীর ফাঁসি বহালের রায়ে বহির্বিশ্বের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক সফল শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় বহালে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি উদ্বেগ জানিয়েছে বহির্বিশ্ব।
এই রায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসের হিউম্যান রাইটস কমিশন, তুরস্ক, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, দেশ ও বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।
বিচারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের অনুপস্থিতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মাওলানা নিজামীর ফাঁসির দণ্ডাদেশ স্থগিত করতে আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের টম লেন্টাস হিউম্যান রাইট্স কমিশন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণের অনুপস্থিতি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ কারণে এ সব মামলায় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়।
গত শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। কমিশনের কো-চেয়ার জেম্স পি. ম্যাক গোভ্যার্ন এবং জোসেফ আর. পিট্টি এই আহ্বান জানিয়েছেন। ১৪৪ কংগ্রেসম্যান এই কমিটির সদস্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, মামলা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেই ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এখন মতিউর রহমান নিজামীর বিষয়। তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সাবেক বিশেষ দূত ষ্টিফেন জে. র‌্যাপ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগের সাথে আমরাও একমত প্রকাশ করে বলছি, বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ যেন এর বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন, যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায্য বিচারের মানদণ্ড অনুসরণ করে। বিশেষ করে মানবাধিকারের শাশ্বত ঘোষণা এবং ইন্টারন্যাশনাল কভোন্যান্ট অন সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইট্স অনুসরণ করা হয়, যে চুক্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় অংশীদার। এই মানদণ্ডের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যে সব রায় দেয়া হয়েছে তা কার্যকর না করে স্থগিত রাখার জন্য আহ্বান জানান তারা।
এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মৃদণ্ডাদেশের পর মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গত শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে বিশ্বের সকল স্বাধীনচেতা শক্তিকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতাদের পক্ষে সরব হবার আহবান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর আমীর, ইসলামিক স্কলার, সাবেক কৃষি ও শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর দন্ড এবং জামায়াতে ইসলামী ও তাঁর দলের নেতৃবৃন্দকে টার্গেটকরণ এক বড় ধরণের রাজনৈতিক ধৃষ্টতা, যার সাথে যথাযথ আইনী ও সুবিচারের কোন সম্পর্ক নেই। কেননা জামায়াত ইসলামী সর্বদা ভারসাম্যপূর্ণ মধ্যপন্থী চিন্তা লালন করে, আইন পরিপন্থী কোন কর্মকাণ্ডে কখনোই জড়িত হয়নি তাঁরা নিজেরাই এই সাক্ষ্যের সুস্পষ্ট প্রমাণ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই ইসলামী শক্তিকে দমন করার জন্য সাজানো কতিপয়
মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, যার ফলে দলের শত-শত হাজার-হাজার নেতা-কর্মী কারাবরণ করেন ও নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যাদের মাঝে সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা, শহীদ কামারুজ্জামানসহ অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার যোগসাজশে ইসলামী সংগঠন ও শক্তিগুলোকে লক্ষ্য বানিয়েছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেবার এমনকি যা এ অঞ্চল তথা সারা বিশ্ব থেকে ইসলামী অস্তিত্ব নির্মূলের ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত অপরাধের ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা ৪৫ বছর আগের ঘটনা। যদি তাদের দ্বারাই এই অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকতো, তাহলে এতো দিন পরে কেন? তারাতো নেতৃত্ব দিয়েছেন, মন্ত্রীত্ব করেছেন। এতে স্পষ্ট এটা বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধেরই অংশ।
এদিকে নিজামীর ফাঁসির রায়কে অন্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)’র সভাপতি ও তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে দেয়া ফাঁসির রায় প্রসঙ্গে বলেন, “আজ বাংলাদেশে ৭৫ বয়সী একজন মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। যিনি এ পৃথিবীতে কোন ধরণের অপরাধ করে থাকতে পারেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। এভাবে ফাঁসি দেয়ার বিষয়টিকে আমরা অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় বলে মনে করি।”
শুক্রবারইস্তাম্বুল শহরে জুমার নামাজ পরবর্তী আইয়্যুপ সিটি কর্পোরেশনের একটি সেবা কেন্দ্র ভবন উদ্ভোধনের সময় এক গণসমাবেশে বক্তব্যকালে এরদোগান এসবকথা বলেন।
বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক ইসলামপন্থীদের উপর দমন-পীড়ন এবং বিরোধী দলের নেতাদের ফাঁসি প্রদানের দিকে ইঙ্গিত করে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী এ নেতা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যা ঘটছে তার ব্যাপারে যারা কোন কথা বলছেন না, তারা এই লজ্জাজনক দায়ভার থেকে মুক্ত থাকতে পারেন না। আমরা সব ধরণের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেয়ার পরও এবং কারো ঘৃনার প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করে ফাঁসি দেয়ার হার ক্রমেই বেড়েই চলছে। এমন রায় প্রদানকারীদের প্রতি আমরা অভিশাপ বর্ষণ করছি।”
এই রায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নও উদ্বেগ জানিয়েছে।
এদিকে জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা ২৪ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করেছে করেছে দলটি। এতে সর্বস্তরের মানুষ সাড়া দেয়ায় মুবারকবাদ জানিয়েছে জামায়াত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন