বাংলাদেশ বার্তা, ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ভোগ করছে ভারত। ভারত ছাড়াও আরও ৩৬টি দেশ পাচার হওয়া অর্থ ভোগ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ভারত ও আমেরিকা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভোগ করছে। তারমধ্যে কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, বেলজিয়াম, পোলান্ড, ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, জাপানও আছে। সুযোগ বুঝে, কালো টাকা আত্মসাতের খেলায় নেমেছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, তুরস্ক, বেলারুশ ও মরিশাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্য রপ্তানিতে যত আয় তার চেয়ে ব্যয় বেশি। আয়ের ৮০ শতাংশ ছিদ্রপথে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অভিযোগের আঙুল কাস্টমস আর ব্যাংক কর্তাদের দিকে। রপ্তানি সংস্থার মালিকদের সঙ্গে যোগসাজসে তারা অর্থ নির্গমনের পথ চওড়া করছেন। প্রাপ্য রসদ থেকে বঞ্চিত হয়ে শীর্ণ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
দোষটা শুধু বাংলাদেশের নয়, যারা নিচ্ছে তাদেরও। কৃষ্ণবর্ণ অর্থের অনুপ্রবেশ বন্ধের দায়িত্ব তারা এড়ায় কী করে। ভারত ছাড়াও আরও ৩৬টি দেশ বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ভোগ করছে।
বোঝাই যাচ্ছে, টাকা পাচারের র্যাকেট নেহাৎ ছোট নয়। এত বড় চক্র এক দিনে গজায়নি। ধীরে ধীরে ডানা ছড়িয়েছে। এইসব দেশকে সাবধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশের। অর্থনৈতিক ক্ষতিটা তাদেরই বইতে হচ্ছে। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি আয় পোশাক শিল্পে। রফতানির ৮২ শতাংশ তারাই করে। পাচার চক্রে তারাই যুক্ত। পোশাক শিল্পে যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য শুল্ক নেয়া হয় না। সেখানেও গোলমাল। কম দামে মাল কিনে বেশি দাম দেখানো হয়। অতিরিক্ত টাকাটা ফাঁক গলে চলে যায় বিদেশে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৪৯ হাজার ১৩ কোটি ডলার। পরিমাণটা কী ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার মতো? টাকাটা কোথায় কীভাবে খরচ হল সেটাও তো দেখা দরকার। সব রপ্তানিকারক সংস্থাই যে এ কাজ করছে এমন তো নয়। অপরাধীদের জেরা করলেই জানা যাবে কোন দেশে কত টাকা যাচ্ছে। কী কাজে লাগছে। বাংলাদেশের ঊর্ধ্বমুখী অর্থনীতিকে টান মেরে নীচে নামানোর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কী হতে পারে!
সূত্র: আনন্দবাজার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন