ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

নতুন প্রজন্মকে ইসলাম বিমুখ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে সরকার -ছাত্রশিবির


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইসলামবিরোধী শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এই ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন এবং বিতর্কিত পাঠ্যসূচি বাতিল করে ইসলামী মূল্যবোধর ভিত্তিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, “বিতর্কিত ইসলামবিরোধী শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের অপচেষ্টা অবৈধ সরকারের ইসলামবিরোধী অবস্থানকে চূড়ান্তভাবে স্পষ্ট করেছে। তাদের এই অবস্থান ইসলামপ্রিয় ছাত্র-জনতা ও বিবেকবান মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ২০১০ সালে বিতর্কিত ইসলামবিমুখ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়। শুরু থেকেই ধর্মহীন এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানায় দেশের আলেমসমাজ, বুদ্ধিজীবীবৃন্দ, রাজনৈতিক দলসমূহ, পেশাজীবী ও ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতা। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাবনাও সরকারের কাছে পেশ করা হয়। কিন্তু এসব দাবি ও সংশোধনীর প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে সরকার বিশেষ এজেন্ডা বাস্তাবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সেই বিতর্কিত শিক্ষানীতির আদলে ‘শিক্ষা আইন-২০১৬’ এর খসড়া প্রকাশ করে এবং তড়িঘড়ি করে তা পাশ করানোর উদ্যোগ নেয় যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিকৃত ও ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সরকারের এই পদক্ষেপ ইসলাম ও দেশে বিরাজমান ইসলামী মুল্যবোধের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের আরবি বানানে ৫৮টি ভুল এবং বিকৃত উপস্থাপনের প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন শ্রেণীর বইয়ে পরিকল্পিতভাবে ইসলামবিদ্বেষী গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ সংযোজন করা হয়েছে। একইভাবে সূক্ষ কৌশলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কোমলমতি মুসলমান শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজাতীয় সংস্কৃতি, ভিন্নধর্মীয় আচার-আচরণ ও কুসংস্কার-শিক্ষা সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। অপরদিকে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে শুধু সংকোচনই করা হয়নি, বরং ইসলাম ধর্ম বিষয়ক এবং মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি উদ্দীপনামূলক গল্প-রচনা ও কবিতাসমূহ বাদ দিয়ে তদস্থলে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের প্রতি উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন রচনা, গল্প ও কবিতা একতরফাভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশের শিক্ষানীতিতে সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে যা কোন মুসলমানের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “দেশে শিক্ষাব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা বিরাজ করছে। অবাধে প্রশ্নপত্র ফাঁস, সেশনজট, শিক্ষাঙ্গনে সরকারদলীয় ক্যাডারদের সন্ত্রাস ও সীমাহীন দুর্নীতিসহ বিভিন্ন সমস্যায় শিক্ষাব্যবস্থা জর্জরিত। কিন্তু সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের নীলনকশা নিয়ে এগিয়ে চলেছে যা জাতি বিনাশী সুগভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, ইসলামপ্রিয় ছাত্র-জনতা গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে নাস্তিক্যবাদী এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। সরকারের উচিৎ গুটিকয়েক নাস্তিক্যবাদীদের বলয় থেকে বের হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আবেগ-অনুভূতি, মতামত ও ন্যায়সঙ্গত দাবীকে মূল্যায়ন করা। ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন-২০১৬ এর খসড়া বাতিল করতে হবে। সেইসাথে আমরা ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও পাঠ্যসূচী প্রণয়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন