জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটিতেই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
মঙ্গলবার নিজামীর রিভিউ পিটিশন আবেদনের শুনানিকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
যেসব সাক্ষীর ভিত্তিতে অপরাধগুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে সেগুলো থেকে তিনি খালাস হওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে দিল্লি চুক্তির মধ্য দিয়ে ১৯৫ জন পাক সেনাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঐ চুক্তিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সরকার স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি স্বাক্ষারের মধ্য দিয়ে ১৯৫ সেনাকে যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
খন্দকার মাহবুব বলেন, এই সেনারা ছিল যুদ্ধাপরাধের প্রধান আসামি। তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে সহযোগীদের (আল-বদর, আল-শামস) বিচার করা হচ্ছে। আমি মনে করি আইনগতভাবে এই বিচার চলতে পারে না। কারণ প্রধান আসামিদের বাদ দিয়ে বিচার করা যায় না।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনাদের অপরাধের জন্য নিজামী অভিযুক্ত হতে পারেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন