বাংলাদেশ বার্তাঃ যতদূর মনে পড়ে, জামায়াত ২০০০ সালের আগে থেকেই যুগপৎভাবে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি'র সাথে আছে। প্রায় ১ যুগ ধরে বিএনপির সাথে বিরোধী দলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে, জামায়াতের ভোট একটি ফ্যাক্টর। সহজভাবে বললে, আওয়ামীলীগ বিএনপির পরেই জামায়াতের স্থান। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে সরব ভূমিকা রেখেছে জামায়াত। রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের স্বীকার হয়েছে জামায়াত। সবচেয়ে বেশি বললেই যথেষ্ট হবে না, জামায়াত তার শীর্ষনেতাদের পর্যন্ত হারিয়েছে। আদর্শিকভাবেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত এক নম্বরে। জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতা বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে দুইটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পায়। দক্ষতা ও সততার সাথে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে। ক্ষমতায় থেকে তারা তাদের সততার সর্বোত্তম নমুনা জাতির সামনে পেশ করে।
বর্তমান ২০ দলীয় জোটের ভোট ব্যাংকের কথা যদি বলি, বিএনপির পরেই জামায়াতের স্থান। বাকী ১৮টি দল একত্র করলেও জামায়াতের ভোট ব্যাংকের কাছাকাছিও আসতে পারবে না। প্রায় সবকটি স্থানীয় নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির অনুরোধ রক্ষা করেছে। সর্বশেষ গাজীপুরের নির্বাচনে বিএনপির অনুরোধে জামায়াত তার প্রার্থী প্রত্যাহার করেই শেষ করে নাই। নিজের জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপকভাবে মাঠে ময়দানে কাজ করে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সহযোগি শক্তি হিসেবে, আমার মতে বড় দল হিসেবে উদারতার পরিচয় দিয়ে বিএনপি তার প্রার্থী সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়ে জামায়াতের প্রার্থীকেই ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয়া উচিত। উল্লেখ্য আমার এ অভিমত একান্তই আমার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন