ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

প্রসঙ্গ পিনাকী : এদেশের কমিউনিস্টরাও এখন মুসলমানদের সমর্থনে দৈত্য হতে চায়


বাংলাদেশ বার্তাঃ এতোদিন হাসিনার বচন শুনে এসেছি, আমার উপর ভরসা রাখুন। এখন কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে সেই লাইন ধরেছে পিনাকী ভট্টাচার্য। অনুনয় বিনয় করে সে বলেছে, “প্লিজ সিপিবি সম্পর্কে ‘গুজবে’ কান দেবেন না, ‘ভরসা রাখুন’ আমার উপরেও কিছুটা। সিপিবির পদস্খলন হলে আমিই প্রথমে ‘নির্মমভাবে’ সিপিবি নেতৃবৃন্দকে ধরবো।”
কয়েকদিন ধরেই পিনাকী এধরণের আহবান জানিয়ে আসছে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে, এর পেছনে অবশ্যই বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি লেখায় তো সরাসরি উপসংহার টেনেছেই, “আপনারাই এখন ভেবে দেখুন প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ইমরান এইচ সরকার, ক্ষমতা বহির্ভুত বামেরা আপনার মিত্র কিনা। মিত্র হলে কাছের নাকি দুরবর্তী মিত্র। নিজেই বুঝে নিতে পারবেন।”
পিনাকীর কথায় অনেকেই প্রভাবান্বিত হতে পারে যেহেতু মুসলমান আজকাল তাদের ধর্মগ্রন্থের(৫/৮২) উপর ইস্তিকামত নয়, তাই তাদেরকে নিকট ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার। মিশরের ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিকে শহীদ করেছিল বাদশাহ ফারুক। তাকে উৎখাত করতে মিশরের সেনা অফিসারদের সহায়তা করেছিল ইখওয়ান, যা ‘ফ্রি অফিসার্স মুভমেন্ট’ নামে পরিচিত হয়। ইখওয়ানের সহায়তায় মিশরে সেনাশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, প্রথম রাষ্ট্রপতি হয় নাগিব। তাকে সরিয়ে পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হয় গামাল আবদেল নাসের। সে ইখওয়ানের উপর যে ভয়াবহ অত্যাচার চালিয়েছিল তা ইতিহাসে বিরল। সাইয়েদ কুতুব শহীদকে সে-ই ফাঁসি দিয়ে শহীদ করেছিল।
অর্থাৎ ইখওয়ানিরা যে ‘ফেরাউন’ নাসেরকে ক্ষমতা দিয়েছিল, সে-ই পরবর্তীতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্যতে পরিণত হয়। এরকম দৈত্য মুসলমানরা আরো জন্ম দিয়েছে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাথে ‘কৌশলগত’ কোয়ালিশন গড়তে গিয়ে। খিলাফত আন্দোলনের কথা পূর্বের পোস্টে উল্লেখ করেছি। এই আন্দোলনে মুহম্মদ আলী ও শওকত আলী ভ্রাতৃদ্বয় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ‘কৌশল’ করতে গিয়ে কাছে টেনেছিল মোহনদাস গান্ধীকে। সেই গান্ধী উল্টো খিলাফত আন্দোলনকে তো ব্যর্থ করলোই, মুসলমানদের গরু জবাইয়ের অধিকারও কেড়ে নিল।
একটি বিষয় সবাই স্বীকার করবে যে, উপমহাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে এই গান্ধী, গুজরাটের দাঙ্গাকারী মোদিও তার কাছে চুনোপুঁটি। সাতচল্লিশে মুসলমানবিরোধী দাঙ্গায় এই গান্ধীই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। এতবড় ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য কিন্তু জন্ম নিয়েছিল মুসলমানদেরই সহায়তায়। ইতিহাস কিন্তু এটি স্বীকার করে নেয় যে, খিলাফত আন্দোলনই গান্ধীকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্ল্যাটফর্ম দিয়েছিল। এর আগে উপমহাদেশের রাজনীতিতে গান্ধীর নেতা হিসেবে কোন অবস্থানই ছিল না।
এতো গেল কংগ্রেসের গান্ধীর কথা, বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদও কিন্তু মুসলমানদেরই তৈরী! জিন্নাহর সাথে মতপার্থক্যের ফলে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক মুসলিম লীগের সাথে কৃষক প্রজা পার্টির কোয়ালিশন ভেঙে দিয়ে এই শ্যামাপ্রসাদের ‘হিন্দু মহাসভা’ দলটির সাথে কোয়ালিশন করে। পুরো ১৮০ ডিগ্রি টার্ন! অবশ্য এই শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা বেশিদিন টিকতে পারেনি, ‍মুসলিম যুবকদের আন্দোলনে ১ বছরের মাথায় সে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ‍মুজিবের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে এর উল্লেখ রয়েছে।
এই মন্ত্রিসভা বেশিদিন না টিকলেও এর ফলশ্রুতিতেই হিন্দু মহাসভা ও তার নেতা শ্যামাপ্রসাদ, প্রথমবারের মতো ক্ষমতার স্বাদ নিতে সমর্থ হয় এবং হিন্দুদের নেতা হিসেবে জায়গা করে নেয়। মুসলমানদের দেয়া এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই সে কলকাতায় সাতচল্লিশে দাঙ্গায় ইন্ধন দেয় এবং ভারতে বিজেপি নামক উগ্র মুসলিমবিরোধী দলটি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
এরকম উদাহরণ বহু রয়েছে, একদা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অং সান সুকির সমর্থকরাও ছিল মুসলমান। এখন এই যে মুসলমানদের সমর্থন নিয়ে কুফরী শক্তির দৈত্যতে পরিণত হওয়ার রেওয়াজ, এটি এদেশের পতিত কমিউনিস্টরাও ব্যবহার করতে চায়। কমিউনিস্টদের নিয়ে এদেশের অনেকেই ঠাট্টা-তামাসা করে তাদের জনসমর্থনহীনতার কারণে। তাদের পোস্টারে লেখা থাকে ১১ দলের সভা, কিন্তু সভায় ১১ জন লোকও পাওয়া যায় না। নির্বাচনে দাঁড়ালে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াটা তাদের জন্য অনিবার্য বিষয়।
এই যে এদেশের চুনোপুঁটি কমিউনিস্ট, এরাও তো সারাজীবন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হয়ে থাকতে চায় না। এরাও তো অং সান সুকি, মিশরের নাসের, গুজরাটের নরেন্দ্র মোদির ন্যায় মুসলিমবিরোধী বড় কসাই হতে চায়। সেজন্য প্রথমে দরকার, পূর্বের ন্যায় মুসলমানদের ফুসলিয়ে ‘কোয়ালিশন’ করা। একবার কোয়ালিশন হয়ে গেলেই, নেতা হিসেবে অবস্থান তৈরী হলেই মুসলমানদের উপর চড়াও হয়ে নির্যাতন করা যাবে মিশরের গামাল কিংবা বার্মার সুকির মতো, এই-ই তাদের আশা।
আসলে এদেশের মুসলমানদের তো কোন কোয়ালিশনের দরকার নেই। সাতচল্লিশে আমাদের পূর্বপুরুষেরা ছিল পাকিস্তানের সমর্থক, তারা কিন্তু ব্রিটিশদের খেদাতে হিন্দুদের সাথে কোয়ালিশন করতে যায়নি। তারাই সফল হয়েছে, স্বাধীন দেশ পেয়েছে। বিপরীতে যারা কংগ্রেসকে সমর্থন করে হিন্দুদের সাথে কোয়ালিশন করতে গিয়েছিল, তারা এখন উঠতে বসতে মার খাচ্ছে।
সাতচল্লিশে আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বাধীন দেশ না থাকার পরও, বর্তমানের ন্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ভূখণ্ড না থাকার পরও সফল হয়েছিলেন, কারণ তারা কাফিরদের সাথে কোয়ালিশন করতে যায়নি। সুতরাং বর্তমানে কোটাবিরোধী আন্দোলনে মুসলমানদের কোয়ালিশন করতে হবে কেন? ‍পিনাকীদের ছলনায় বিভ্রান্ত হবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে মুসলমানদের কোন কোয়ালিশনের দরকার নেই।

!!!!!!!!!! মুল পোস্ট : রাজীব খাজা..

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন