বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক হাতুড়িপেটাকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন। নির্মম হাতুড়িপেটায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র তরিকুল ইসলামের পা ভেঙে দিয়েছে সে। মামুন হয়তো এক তরিকুলের পা ভেঙে দিয়েছে, কিন্তু হাজার তরিকুলের স্বপ্ন ভেঙে দিল। লক্ষ তরিকুলের বাপ-মায়ের হতাশা হয়ে রইলো।
আচ্ছা এখানে অপধারী আছে, অপরাধ আছে, তার প্রমাণও আছে। আচ্ছা বিচার কী আছে! থাকলে তো এতোক্ষণে মামুনকে গ্রেফতার করা হতো! হয়েছে? হবে কি?
খুব জানতে ইচ্ছে করে এসব মামুনদের তো নিশ্চয় পরিবার আছে, ছোট বা বড় ভাই আছে। তারাও তো কোথাও পড়াশোনা করছে। আচ্ছা ওর বাবা-মা ছেলের এমন নৃশংস পাশবিক চেহারা দেখার পর কী ভাবছেন! তাদের কোলে এমন পশু কিভাবে জন্ম নিল, কিভাবে বেড়ে উঠলো! তাদের কী লজ্জা করছে! মামুনের বাবা-মা তো নিশ্চয় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সব সময় ছেলের জন্য সুস্বাস্থ কামনা করেন। এখন কী দোয়া করছেন! খুব জানতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা, তারা কী এখন তরিকুলের জন্যও দুয়া করছেন! তাহলে ছেলের জন্য?
ও ভালকথা, মামুন এখন কী করছে, নিশ্চয় পদ-পদবীসহ নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাপ করছে! মামুন কী একবারও ভেবেছে, তরিকুলের জায়গায় আজ যদি ও হাসপাতালের বিছানায় থাকতো। হাতুড়িপেটায় ভাঙা পায়ের ব্যাথাটা কতটা কষ্টের একবার কী ভেবে দেখার সময় পেয়েছে! ও কি একবারও ভেবেছে, আজ যদি সে হাসপাতালে থাকতো, তাহলে ওর বাবা-মা কেমন করতো!
খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন