ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮

জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র প্রতিবাদ

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অবাস্তব ফরমায়েসী প্রতিবেদন তৈরী করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান
দৈনিক যুগান্তরের শেষ পৃষ্ঠায় ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় আজ ৯ জুলাই প্রকাশিত দু’টি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে যে সব ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৯ জুলাই, ২০১৮ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক যুগান্তরের শেষ পৃষ্ঠায় ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় আজ ৯ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদন দু’টিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে যে সব আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অসত্য।
আমরা গত কয়েক দিন যাবতই লক্ষ্য করে আসছি যে, আমাদের সময়সহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জামায়াতের পক্ষ থেকে মেয়র প্রার্থী দেয়াকে কেন্দ্র্র করে অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটেড প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই ২০ দলীয় জোটের প্রধান দু’টি শরীক দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি করে ঐক্যে ফাটল ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন। সিলেট সিটির মেয়র পদে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে জামায়াত ২০ দলীয় জোটের সমর্থন চাইতেই পারে। কাজেই এ নিয়ে ২০ দলীয় জোটে ভাংগন সৃষ্টি হবে কেন? এখানে প্রার্থী দেয়ার কারণে সরকারের সাথে জামায়াতের কারো সম্পর্কের প্রশ্নই বা আসবে কেন? আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে, বর্তমান সরকারের আমলে জামায়াতই সব চাইতে বেশী নির্যাতিত ও নিপিড়ীত হয়েছে। কাজেই বর্তমান সরকারের সাথে জামায়াতের কারো কোন ধরনের যোগাযোগ ও সম্পর্ক রাখার প্রশ্নই আসে না।
২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রয়েছে। ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠুক তা আমরা সকলেই চাই। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোন অকবাশ নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আসন বন্টন নিয়ে কিংবা বিএনপির চেয়ারপারশন বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর জামায়াতের বিবৃতি দেয়া সম্পর্কে জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কারো সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি এখন জীবিত নেই। তার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগের কোন জবাব দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। একথা জেনেই কিছু সংখ্যক সংবাদপত্র তার সম্পর্কে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাছে। এটা বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী।
অত্র পত্রিকা দুটিতে পরিবেশিত মিথ্যা তথ্যের জবাবে আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো সুবিধাবাদী রাজনীতি করে না। জামায়াত একটি আদর্শবাদী দল। এ দলে সুবিধাবাদীদের কোন স্থান নেই।
কাজেই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অবাস্তব ফরমায়েসী প্রতিবেদন তৈরী করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট পত্রিকা দু’টির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন