সিলেটে প্রার্থী দিয়ে জামায়াতের ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত লংঘনের প্রশ্ন অবান্তর:
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ গত ৫ এবং আজ ৬ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠসহ কতিপয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রার্থী দেয়া সম্পর্কে যে সব অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর
কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৬ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন; “গত ৫ এবং আজ ৬ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠসহ কতিপয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রার্থী দেয়া সম্পর্কে যে সব অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যেই তারা অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছে।
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিবেদনে ‘সিলেটে প্রার্থী দিয়ে অনমনীয় অবস্থান নেয়ার পেছনে দলের সেক্রেটারী
জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের আগ্রহ বেশী কাজ করছে। এর নেপথ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কাজ করছে’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা একেবারেই অসত্য। এটি জামায়াত নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের শামিল। সিলেটে জামায়াত প্রার্থী দিয়েছে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। আওয়ামী লীগের কোন নেতার সাথে জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেলের সম্পর্ক থাকা বা তার আগ্রহে জামায়াতের প্রার্থী দেয়ার প্রশ্নই আসে না। জামায়াত কাজ করে দলীয় সিদ্ধান্তে, কারো একক সিদ্ধান্তে নয়। কোন কোন পত্রিকার রিপোর্টে ‘জামায়াত সিলেটে প্রার্থী দিয়ে ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত লংঘন করেছে’ মর্মে যে কথা লেখা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। সিলেট সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীর ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কাজেই সিলেটে প্রার্থী দিয়ে জামায়াতের ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত লংঘনের প্রশ্ন অবান্তর।
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে ‘উদারপন্থী দলগুলোকে নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় জামায়াত খুশী নয়’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমরাও চাই দেশের জনগণের ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সকল বিরোধী দল নিয়ে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠুক। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোন অবকাশ নেই। কালের কণ্ঠের রিপোর্টে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন এবং তার পূর্বের নির্বাচনে জামায়াতের প্রাপ্ত ভোট নিয়ে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সত্য নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ২০০৮ সালের পরে দেশে কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হয়নি। কাজেই দেশে কোন্ দলের কত ভোট আছে তা এখন কারো পক্ষে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ২০ দলীয় জোটে ভাংগন সৃষ্টি হোক তা কারো কাম্য নয়। আমরা জাতীয়
ঐক্যের স্বার্থে সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছি। আমরা আশা করছি শুধু সিলেটে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। আমাদের এ আশা সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও ন্যায় সংগত। অতএব, আমাদের প্রত্যাশা ২০ দলীয় জোটের শরীক দলগুলো আমাদের দলের প্রার্থীকেই ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী ঘোষণা করে বিরাজমান সমস্যার যৌক্তিক ও ন্যায় সংগত সমাধান করবেন।
আমরা আশা করছি দৈনিক প্রথম আলো এবং দৈনিক কালের কণ্ঠসহ সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোর কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকবেন ও অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন