ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

ঢাকায় অসুস্থ মাকে বাঁচাতে ২ পথশিশুর লড়াই

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকা। ‘ঢাকায় টাকা ওড়ে’; কিন্তু এ উড়ন্ত টাকা যারা ধরতে অক্ষম, তাদের প্রতিটি দিন এক একটি নির্মম গল্পকেও হার মানায়।

এখানে কংক্রিটের দেয়ালে যেভাবে চাপা পড়ে যায় সকালের সোনা রোদ, সেভাবেই চাপা পড়ে থাকে অভাবী অসহায় নিরণ্ণ মানুষের হাহাকার।

এই ইট-কাঠ-পাথরের শহরে বিত্তশালীদের বিলাসী জীবনের ঝলকানিতে যেমন চোখ ধাঁধিয়ে যায়, তেমনি নিরণ্ণ ছ্ন্নিমূলদের অসহায় জীবনের করুণ কাহিনি ছুটন্ত মানুষকে থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে।

অনেক সময় হয়তো পেছনে তাকানোর ফুরসত টুকুও মেলে না। কিন্তু চোখে আটকে থাকে এমন কিছু দৃশ্যপট, যা আপনাকে বারবার ভাবতে বাধ্য করবে- জীবনের মানে কী? বিলাসের ঝলকানিই কি জীবন, নাকি দুর্বল হাতের অশ্রুসজল চোখের অসহায় লড়াইটাই জীবন?

রাজধানীর ধানমণ্ডির সোবহানবাগ মসজিদ এলাকার এক মানবিক দৃশ্যপট তুলে ধরে জীবন সম্পর্কে আমাদের এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল।

শনিবার সোবহানবাগ মসজিদ থেকে ২০০ গজ দক্ষিণের ফুটপাতে এক ছিন্নমূল অসহায় মাকে বাঁচাতে তার দুই শিশুসন্তানের লড়াইয়ের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন জুয়েল।

ছবিতে দেখে যায়, একজন অসুস্থ মা ফুটপাতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশে তার দুই অবুঝ সন্তান। মাতৃসেবায় ব্যস্ত এ দুই ছোট্ট শিশু। মাথায় পানি ঢেলে মায়ের জ্বর প্রশমন করার চেষ্টা করছে বড় ছেলেটি। পাশে কারা যেন রুটি, কলা রেখে গেছে।

পানি রাখার জন্য কোনো পাত্রও নেই তাদের। কুড়িয়ে পাওয়া মিনারেল ওয়াটারের বোতলেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে শিশুটি।

ছোট ছেলেটি আর কিছু করার ক্ষমতা নেই দেখে বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে মাথা ঠেকিয়ে রেখে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।

শনিবার রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে জুয়েল লিখেছেন- ‘একজন অসুস্থ মা ও তার দুই অবুঝ সন্তানের মাতৃসেবা... মা-দের এমন অসুস্থ অবস্থায় দেখলে কষ্ট লাগে, একেবারে দিলে লাগে কষ্টটা।

সে মা ও তার শিশুদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে রোববার দুপুরে সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।

জুয়েল যুগান্তরকে জানান, মা ও দুই শিশুর ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করার পর অনেকেই তাকে ফোন করে স্থানটি কোথায় তা জানতে চেয়েছেন। ঢাকার বাইরে থাকেন এমন কয়েকজনও সাহায্যের হাত বাড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

তবে তিনি জানান, সকাল অবধি তেমন কেউ এই দুস্থ, অসহায় মা ও সন্তানদের দেখতে আসেননি।

ছবিটি প্রকাশের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন- ‘কী কষ্টের ছবি! হৃদয়বিদারক দৃশ্য, আল্লাহ তুমি এদের হেফাজত করো।’

আরেকজন লিখেছেন- একটা ছবি অনেক কথা বলে। ছবি দেখে কেউ না কেউ তো পাশে দাঁড়াবে।

ছবিটি শেয়ার করে একজন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন- একজন মানুষ হিসেবে মৌলিক কিছু অধিকার না পেলেও চিকিৎসা পাওয়া উচিত। তিনি আরও লিখেন- এই অসুস্থ একজনকে মাড়িয়ে চলে যান নগরীর লাখো মানুষ৷ কারও চোখে পড়ে, কারও পড়ে না৷ উচ্চবিত্তের কাছে এ ছবি যেন নিছক শিল্পকর্ম বলেও অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন একজন।

ঢাকা শহরে এমন চিত্র অহরহ৷ অসংখ্য মানুষ এ মেগাসিটির ফুটপাতে ঘুমায়। যারা এ দেশের নাগরিক হয়েও যেন পরবাসী।

কক্সবাজারে পাহাড়ের পাদদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যসহ থাকার জায়গা হলেও ঢাকার ছিন্নমূল মানুষদের ফুটপাত ছাড়া আর কোথাও ঠাঁই হয় না।

এমনকি টাকা না থাকায় কোনো হাসপাতাল বা মাতৃসদনে ঠাঁই না হয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন এমন ঘটনার সাক্ষীও হয়েছে ঢাকা।

-যুগান্তর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন