ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ


বাংলাদেশ বার্তাঃ কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত দুষ্টচক্র এবং তাদের পেছনের হোতাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জামায়াতের

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৫ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ ঘটনা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, দেশে কী ভয়াবহ দুর্নীতি চলছে। এ অবস্থায় দেশবাসী সকলেই উদ্বিগ্ন।

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনা তদন্ত করে ইতোমধ্যেই দুদক কয়লা উধাও হওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। বড় পুকুরিয়া কয়লা মাইনিং কোম্পানীর এমডিসহ কোম্পানীর ১৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একদিকে কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনার তদন্ত চলছে, অন্যদিকে কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনাকে সিস্টেম লস হিসেবে চালিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ঘটনা যাতে কেউ ধামাচাপা দিতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকেই সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

এদিকে কয়লার অভাবে বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ার ফলে উত্তরাঞ্চলে এ জুলাই মাসের প্রচন্ড গরমের মধ্যে তীব্র লোড সেডিং শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষ অতিষ্ঠ তখন ভয়াবহ লোডসেডিং এর ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান হওয়া উচিত।

এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইতিহাসের সর্ববৃহৎ শেয়ার মার্কেট কেলেংকারী, ব্যাংক থেকে টাকা লুটপাট এবং ডাকাতির উৎসব, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ ডাকাতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা জালিয়াতি এবং বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা গায়েব ও লুটপাটের ঘটনায় জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্নীতিবাজ, কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক এ সরকারের হাতে পরবর্তী কোন্ সর্বনাশ জাতির জন্য অপেক্ষা করছে, তা ভেবে দেশের বিবেক মানুষ আতঙ্কিত? এ সর্বনাশা খেলা থেকে দেশ এবং জাতিকে রক্ষা করতে হলে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, বিবেকবান বুদ্ধিজীবী সমাজ এবং দেশের জনগণকে সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত দুষ্টচক্র এবং তাদের পেছনের হোতাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন