ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮

সিলেট নির্বাচনঃ বিএনপি-জামায়াতের হিসেব নিকেষ....

বাংলাদেশ বার্তাঃ জোট থাকছে। গতকালও জামায়াত বিএনপির নেতারা একসাথে বসেছেন। আবার সিলেট সিটি নির্বাচনে জামায়াতও থাকছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নেতারা জামায়াতের উপর রাগ ঝাড়লেও জামায়াত এখনো বেশ সংযত। প্রকাশ্যে বিএনপিকে নিয়ে তারা কিছুই বলছেননা।
জামায়াতকে দুর্বল বলে, ভোট নেই বলে মওদূদ সাহেবসহ যেসব বিএনপি নেতারা দাবী করছেন, তারা নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছেন। এক সিলেট নিয়েই তারা এত এগ্রেসিভ কেন হলেন বুঝলাম না। কেননা দুদিন পরে নিজেদের অাসনেই তো এই কম ভোটের দল জামায়াত বা জামায়াতের সমর্থন প্রয়োজন হবে। তখন কি তারা জামায়াতকে আবার এক ছাতার নীচে আনতে পারবেন?
রাজশাহী ও গাজীপুরে জামায়াতের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা হয়রানি হচ্ছেন, বিএনপি এখনো অবধি সে ব্যপারে কোন সহানুভুতি দেখাচ্ছেনা। এ হয়রানির দায় বিএনপিরও কম নয়, কেননা বিএনপিকে সমর্থন দেয়াতেই এই নিরীহ মানুষগুলোকে হয়রানি করা হচ্ছে। রাজশাহীতে জোট কতটা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে তাতেও জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাথাব্যাথা নেই। জামায়াত সেখানে প্রার্থী দেয়নি- তার মানেই সব ঠিকঠাক অাছে এমনও মনে হচ্ছেনা। বিএনপি প্রার্থী বুলবুল এখনো অবধি জামায়াতের সাথে যৌথভাবে কোন প্রচারনায় নেমেছেন বলে আমার চোখে পড়েনি। অথচ এসব নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বা সমমনা বুদ্ধিজীবিদের কোন দুশ্চিন্তা বা মন্তব্য নেই।
সিলেটে আওয়ামী লীগের কামরান সাহেব নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের জুবায়ের সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি, করেছেন বিএনপির প্রার্থী আরিফ সাহেব। এটা বিএনপির বড় আকারের বালখিল্যতা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের জন্যই সিলেটে এখন একমাত্র হুমকি এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
মির্জা ফখরুলের অবস্থানও বুঝতে পারছিনা। তিনি গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বললেন, শরীক দলগুলো নাকি বিএনপি প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। অথচ লেবার পার্টিসহ শরীকদের সকলেই এমনকি হেফাজতে ইসলামও প্রকাশ্যে এডভোকেট জুবায়েরকে সমর্থন দিয়েছে। জামায়াতকে সমর্থন করে এই শরীক দলগুলোর নেতাদের ভিডিও বক্তব্য, স্ট্যাটাস বা বিবৃতি এখন ফেসবুকেও দেখা যাচ্ছে। তাহলে তারা কি জোটের বৈঠকে চুপ ছিলেন, নাকি বিএনপি তাদের নিরবতার সুযোগ নিচ্ছে সেটাও পরিস্কার নয়।
অন্যদিকে অধ্যাপক এমাজউদ্দিনের পর এবার জাফরুল্লাহ সাহেবও বিএনপিকে জামায়াতের সংস্পর্শ ছাড়তে চাপ দিচ্ছেন। তাও এই সিলেটের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।
সিলেট নিয়ে এখনো অবধি যা হচ্ছে, তাতে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচনের আগেই বিএনপি হেরে গেছে। স্থানীয় সরকারের একটি নির্বাচনে ভারসাম্য রাখতে না পারার কারনে কেন্দ্রীয় বা জাতীয়ভাবেই হোচট খেয়েছে বিএনপি।
লিখেছেন
Ali Ahmad Mabrur ভাই ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন