বাংলঅদেশ বার্তাঃ বিকেলে টিএসসি যাওয়ার পথে দেখলাম সন্দেহভাজন এক ছেলেকে পুলিশ ধরে জোর করে প্যান্ট খুলতে বাধ্য করছে। পুলিশের সন্দেহ তার সাথে মাদক আছে, কিন্তু ছেলে বার বার বলছিল, স্যার আমার সাথে কিচ্ছু নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা, পুলিশের সেই অফিসার অর্ধশত মানুষের সামনে তাকে নগ্ন করল, তারপর কিছুই পেল না। ততক্ষণে ছেলেটা কান্না করছে, কাঁদতে কাঁদতে বলছে, স্যার কিছুই তো পেলেন না, আমাকে এত গুলা মানুষের সামনে প্যান্ট খোলাইছেন কেন! এ কথা শুনে, তার মা-বোন তুলে গালিগালাজ করছিল পুলিশ।
আমার কাছে ব্যাপারটা অন্যায় মনে হয়েছে, আমি মোবাইল বের করে ঘটনার এক পর্যায়ে ছবি তুলি। এসময় সেই পুলিশের অফিসার আমার দিকে তেড়ে এসে, আমার ফোনটা কেড়ে নেয়, এবং আমাকে বলতে থাকে, এই তুই ছবি তুললি কেন! তোকে ছবি তোলার অনুমতি কে দিয়েছে! এই মোবাইল এখনি তোর পুট** ঢুকিয়ে দিব শালারপুত। আমাকে চিনিস আমি কে? তোর মোবাইল এখনি ভেঙে ফেলব, বলেই সে আমার মোবাইল ভাঙার জন্য দুহাতে চাপ দেয়। তারপর সাথে থাকা কনস্টেবলকে বলতে থাকে, এই ওরে গাড়িতে তোল। এসময় আমি তাকে বলি, আচ্ছা থানায় নেন, যদি আমি অপরাধ করে থাকি! কিন্তু আপনি আমাকে গালি দিচ্ছেন কেন? এ কথা শুনে সে আমাকে বলে, তোকে মারি নাই এটাই অনেক। এছাড়াও সে যেসব শব্দ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করেছে তা আমার পক্ষে লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না।
সে পুলিশ অফিসার আমাকে অশিক্ষিত বোকা ভেবছিল, মনে করেছে গালিগালাজ আর থানায় নেয়ার ভয় দেখালে আমি ওই ছেলের মত কান্না করে দিব। কিন্তু আমিও নাছোড়বান্দা, আমাকে গালি দেয়ায় আমি শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ করেছি। এবং শেষে তাকে সরি বলাতে বাধ্য করেছি।
প্রথমত কোন সন্দেহভাজন ব্যাক্তিকে পুলিশ পাবলিক প্লেসে নগ্ন করতে পারেনা, আর এভাবে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে পারেনা। পুলিশের এমন আচরণে আমি বাকরুদ্ধ। পুলিশের সেই সদস্যের অগ্নিমুর্তি চেহারা আমার চোখে ভাসছে, ভাবছি সাধারণ মানুষ কতটা অসহায় এদের কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন