বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জামায়াতের নেতা আব্দুল হালিম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের রয়েছেন।’
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির গুলশান অফিসে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। কতিপয় মিডিয়ায় প্রচারিত বিভ্রান্তিকর রিপোর্টে আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি।’
গতকাল ২০ দলের বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, ২০ দল একক প্রার্থীর ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ঐ বক্তব্যকে প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন। জামায়াতের নেতা আব্দুল হালিম বলেছেন, ‘সিলেটে আমাদের প্রার্থী আছেন। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
এর আগে গতকাল বিকেলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ফোন করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে। তারেক জামায়াত নেতাকে সিলেট থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে ডা. শফিক তা প্রত্যাখ্যান করেন। বিপদে পড়লে আমাদের খোঁজ নেন। প্রয়োজনে পা ধরেন। ডা. শফিক তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সিলেটে মেয়র প্রার্থী জামায়াত থেকে হবে, এই অঙ্গীকার ২০১৩ সালে আপনি করেছিলেন। তখন আপনি বলেছিলেন, পরের বার সিটি নির্বাচনে অবশ্যই ২০দল জামাতের প্রার্থীকে সিলেটে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবে। এখন আবার আপনারা অন্য কথা বলছেন।’
একাধিক সূত্র বলছে, ডা. শফিক অভিযোগ করেছেন যে, জামায়াতকে ধ্বংস করতে বিএনপি ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তিনি তারেককে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপি ধ্বংস হতে পারে, বিলীন হতে পারে, জামায়াত নয়।’
তারেক জামায়াত নেতার কাছে ক্ষমা চান। মাফ চান। তবুও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সেটি সম্ভব না। আমাদের কর্মীরা চাইছে নির্বাচনে থাকতে। এটা আমাদের অস্তিত্বের জন্য দরকার।’
একাধিক সূত্র বলছে, গতকাল ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে কেবল একক প্রার্থিতার ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে। একক প্রার্থী কারা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হ্যাঁ, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আবার বসছি, আশা করি আমরা সমঝোতায় পৌঁছুতে পারব। শেষ পর্যন্ত জামায়াত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে।’
তবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম বলেছেন, ‘আমরা সিলেটে থাকছি। এটা আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এ থেকে সরে আসার সুযোগ নেই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন