ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে নতুন প্রজন্মকে কাণ্ডারির ভূমিকা পালনের আহ্বান জামায়াতের

বাংলাদেশ বার্তাঃ মহান স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সোমবার রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর রামপুরা থানা আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ভোজসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক অতিক্রান্ত হলেও রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই তা এখনো পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। এজন্য অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে নতুন প্রজন্মকে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করতে হবে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ, স্বাস্থ্যবান ও সংস্কৃতিমনা জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সুস্থ্ ধারার ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। মূলত শরীরচর্চা ও বিনোদন যুব সমাজকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মানসিক বিকাশ সাধণ, শৃঙ্খলাবোধে উদ্বুদ্ধকরণ, চরিত্র গঠন, পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির মনোভাব, জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধকরণ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক বিনিময়কে জোরদার ও শক্তিশালী করে তোলে। তাই একবিংশ শতাব্দীতে এসে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সুস্থধারার আত্মবিনোদন হয়ে উঠেছে মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রয়োজনীয় আয়তনের খেলার মাঠ নেই। নেই ক্রীড়াবিদদের জন্য আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও ক্রীড়া সামগ্রীর সহজলভ্যতা। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ক্রীড়া সংগঠক ও ভাল মানের ক্রীড়াবিদও সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের ব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সম্প্রসারণ, ক্রীড়াবিদদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা ও ক্রীড়া সামগ্রীর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, যে দেশ যত উন্নত দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও ততই উন্নত। তাই দেশ ও জাতিকে নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযোগি করে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, সময়োপযোগি পাঠদান পদ্ধতি, মেধাবী ও বিত্তহীন শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পৃষ্ঠপোষকতা, আধুনিক শিক্ষা অবকাঠামো, সর্বাধুনিক শিক্ষা উপকরণ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, যোগ্য ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে সহায়ক শিক্ষার সম্প্রসারণ, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আসন বৃদ্ধি, মেধাবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা দেয়া খুবই জরুরি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও বৈশ্বিক মানের হয়ে ওঠেনি।
মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ডা.এফ ইউ মানিকের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি এফ এ ফজলুর পরিচালায় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা নায়েবে আমীর এস এইচ ঈমাম, শ্রমিক নেতা প্রফেসর এ হালিম, জামায়াত নেতা এম এ রশিদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান শামীম, এ এস ফরহাদ, এস এম মনিরুজ্জামান, মাওলানা এ লতিফ, আবুল হাসনাত পাটোয়ারি, আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, জেড স্বাধীন, এইচ রহমান, মোবাকর হোসেন, আবুল আলা রিয়াদ, মাওলানা দলিল উদ্দিন, জালাল রহমান, মাওলানা জাকির হোসেন, নজরুল ইসলাম ও শফিকুর রহমান করিম প্রমূখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন