ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮

জামায়াত শিবির নিজেকে ইসলামি দল বললেও আসলে ওরা ইসলামি দল না: অভিযোগ ও বাস্তবতা

বাংলাদেশ বার্তাঃ জামায়াত শিবির নিজেকে ইসলামি দল বললেও আসলে ওরা ইসলামি দল না
যদি ওরা ইসলামি দল হতো ওদের নেতাকর্মীদের সুন্নতি লেবাছ হতো। দাড়ি যারা রেখেছে ছোট ছোট করে না রেখে সুন্নতি লেবাছে রাখা হতো।
সত্যিকারে ওরা ইসলামি দল হলে ওরা মওদুদির বই কেন পড়ে? ওরা ইসলামি দল নয় মওদুদীবাদি দল।
এই অভিযোগ একজন চর্মোনাই পন্থি কওমি আলেমের আমার নই। কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গিয়ে চট্টগ্রাম কারাগার পদ্মা ৫ গিয়ে ২ দিন অবস্থান করে।
সেই ওয়ার্ডটি ছিল শিবির নিয়ন্ত্রিত। সেই ওয়ার্ড গিয়ে জামায়াত শিবির কে কাছ থেকে দেখে বলছে সারাটি জীবন দাদা হুজুর বাবা হুজুর মুখে যা কিছু শুনেছি তাতো পুরাই বিপরীত!
রাত তিনটা ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জত পড়ার জন্যে উঠি তখন দেখে শিবিরের কর্মীরা সেজায় পড়ে গুন গুন করে কাঁদছে। দাড়ি নাই সুন্নতি লেবাসে পোশাক নাই তার পরেও দেখে আল্লাহ প্রেমে এমন কাতর!
পরের দিন ভাবলাম সবাইর আগে আমি উঠবো। রাত ২:৩০ উঠে দেখি আমার আগে ওরা উঠে ইবাদত করছে।
দুপুরবেলা মনে মনে ভাবলাম ওরা ইসলামি দল না হলোও একটু কষ্টিপাথর ঘষে দেখি ইসলামের জ্ঞান কেমন? একজন শিবিরের সদশ্যের সাথে কোরআন নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম। তার জ্ঞান ধারনা দেখে আমি অভাগ হলাম। নিজে নিজে লজ্জিত হয়ে কষ্টিপাথরে না ঘষিয়ে কষ্টি পাথর কে ছুঁড়ে পেলে দিলাম।
রাতে একজন লোক দাঁড়িয়ে দরসে কোরআন পেশ করছে। আমি ভাবলাম পোলা মানুষ কি আর আমাকে জ্ঞান দিবে আমিতো একজন আলেম। তাই বসে বসে হুজুরদের নির্দেশিত আমল নিজে নিজে শুরু করলাম।
তার দরসে কোরআন শুনে আমার আমল বন্ধ করে দিয়ে শুনতে রহিলাম। যেই আয়াতের দরস দিচ্ছে আমি একাদিক বার পড়েছি। হুজুরদের মুখে অনেক দরস শুনেছি সেই পড়া আর শুনা দরসের সাথে কোন মিল নেই।
ছোট একটি ছেলে একটি আয়াতের দরস দিতে গিয়ে অসংখ্য আয়াতের রেফারেন্স দিলো! দুই তিনটি হাদিসের রেফারেন্স দিলো। মনে হলো যেন সে আমার ওস্তাদ আমি তার সাগরিদ।
এই বয়সে কত কিতাব পড়েছি কত হুজুরের আলোচনা শুনেছে তার পরেও মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম আমি এই দরসে কোরআন শুনেছি। পরিশেষে ওদের দোয়া মুনাজাতের কান্নায় আমি হতবাগ হয়ে নিজেও কেঁদেছি পরিশেষে হাসছি।
আমার হাসার উদ্দেশ্য হলো আজ যদি আমি জেলে না আসতাম ওদের জ্ঞান, আমল, আখলাক কাছ থেকে জানতাম না। সারাটি জীবন ওস্তাদদের বিরোধীতার কারণে নিজেও কত বিরোধীতা করেছি। আজ আমি শতভাগ নিচ্ছিত হলাম আসলে ওরাই সত্যিকারে ইসলামি দল।
আমার হাসার কারণ হলো আমরা সুন্নতি লেবাছ নিয়ে যা জ্ঞান অর্জন করেছি আর আমল করছি ওদের তুলনায় নগণ্য।
তার পরেও অনেকে বলতে পারেন এতে হাসির কি আছে? জ্বী হ্যা আছে হাসার কারণ হলো আমি যে সত্যিকারের ইসলামি দলে অন্তর্ভুক্ত হলাম তাই খুশিতে হাসছি।
আর নিরবে আল্লাহর কাছে কাঁদছি সারাটি জীবন কত না বিরোধীতা করেছে ওদের। সেই অপরাধ তুমি মাফ করে দাও প্রভু মাফ করে দাও।
Copied From Diganta Alo

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন