বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর শ্যামপুরের একটি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি আয়েশা সিদ্দিকা পারভীন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এবং চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগের কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট গাইনী-স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা: লাভলী, জামায়াত নেত্রী মাহবুবা খাতুন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জল প্রেরণার দিন। এই দিনেই স্বাধীনতার অর্জনের লক্ষ্যে দেশের আপামর জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নেয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ থেকে এখনো বঞ্চিত। এখনও দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত দেশের অধিকাংশ মানুষ। আজও ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব ও মানবাধিকারের মতো মৌলিক বিষয়গুলোর জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সমাজের এই অসহায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল সকলের কাছে পৌঁছাতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য শুধু একটি ভুখন্ড নয় মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই প্রকৃত স্বাধীনতা। নিজস্ব জাতি সত্তা বিকিয়ে দিয়ে আধিপত্যবাদের তোষনে ব্যস্ত থাকলে কোন জাতিই মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে না। সুতরাং স্বাধীনতার মান রক্ষার জন্য এখন দেশ গড়ার যুদ্ধে নামতে হবে। দেশের মানব, প্রাকৃতিক ও মেধা সম্পদকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। বিভেদের রাজনীতিকে পুঁজি করে ফায়দা হাসিল বন্ধ করতে হবে। দেশপ্রেম কথায় সীমাবদ্ধ না রেখে কাজে পরিণত করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এ জাতি অবশ্যই উন্নতির শিখরে অবস্থান করবে। আর উন্নতির পথে প্রধান নিয়ামক হবে ঐক্যের শক্তি তাই স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সুখী-সমৃ্দ্ধ ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সহ সকলের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এসময় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় দুই শতাধিক চক্ষু, শিশু, গাইনী-স্ত্রীরোগ ও মেডিসিনের রোগীকে চিকিৎসা সহযোগিতা ও বিনামুল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন