ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

অসির চেয়ে মসী বড়


বাংলাদেশ বার্তাঃ ফ্রান্সের এক নামকরা ব্যাংকে....ব্যাংক ডাকাতির সময়...ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোন নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার। তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"
এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল।


এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept” অর্থাৎ মানুষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।

সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার অসাবধানবশত তার কাপড় পা থেকে কিছুটা উপরে উঠে গিয়েছিল। ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"

এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional” অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, ঐটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।

যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো.....তখন এক ছোট ডাকাত(MBA পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে Class 5 পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) -কে বললো, "বস চলেন টাকাটা গুনে ফেলি।"
ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনই প্রয়োজন নেই। একটু পরে টিভি ছাড়লেই নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দিবে আমরা কত টাকা নিয়ে এসেছি।

এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience"
অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, ব্যাংকের কর্মচারি...ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলেন পুলিশকে ফোন দেই....এখন ফোন দিলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না। 
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদের -কে আমাদের জন্যই এই ২০ মিলিয়ন টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিত, তাহলে আমরা যে ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।

এই ব্যাপারটাকে বলে, "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।

কিছু সময় পরেই টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ মিলিয়ন টাকার ডাকাতি। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ মিলিয়ন এর বেশি বাড়াইতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো,"শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এত কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ মিলিয়ন টাকা নিলাম। আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ মিলিয়ন টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই ত বেশি লাভ হইত।"

এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!"
অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।

ব্যাংক ম্যনেজার হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ মিলিয়ন। ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেও সে আরো ১০ মিলিয়ন টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।

এই ব্যাপারটাকে বলে, "Seizing the opportunity/Daring to take risks!"
অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত। 

তাহলে এই ডাকাতিতে লাভ টা হইলো কার? 😛

[ভিনদেশি রম্যরচনা থেকে অনুবাদকৃত]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন