ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

ধর্ষিতাকে মা ডেকে ক্ষমা চাওয়া এবং ফারহানা মিলির বোমা = মিনার রশিদ

বাংলাদেশ বার্তাঃ নোয়াখালীতে বারো বছরের পুত্রকে বেধে রেখে চল্লিশ বছরের বিধবা মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে । অত:পর সালিশে ধর্ষকদের কয়েকবার কান ধরে উঠবোস করানো হয় এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় । পুরো ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে এটাকে ধর্ষণের জরিমানা না বলে ধর্ষণের ফি বলাই শ্রেয় হবে । সেই ফি খুব বেশি না । মাত্র ১২০ আমেরিকান ডলার । অনেক দেশে এই ডলার দিয়ে প্রি পেইড এরেন্জমেন্টও করা যায় না ! হায়রে আমার সোনার বাংলাদেশ !
সেই খাজেগানে মজলিশে ধর্ষককে দিয়ে ঐ ধর্ষিতাকে মা ডেকে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয় । সত্যিই চমৎকার বিচার ! ঐ ধর্ষণ করে মহিলাকে যতটুকু না কষ্ট দিয়েছে এই - ধর্ষককে দিয়ে মা ডাকিয়ে এবং ক্ষমার নাটক করে এর চেয়েও বড় আঘাত দেওয়া হয়েছে ।
এদেশের মানুষ সত্যিই অসহায় হয়ে পড়েছে । দেশটি কোন ধরনের সালিশদার বা সামাজিক নেতৃত্বের হাতে চলে গেছে তা উপরের ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতেও নাকি এখন এরকম কোর্ট বসে । সেসব কোর্টে যা সাব্যস্ত হয় সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা তা মেনে না নিয়ে পারে না । কারন জলে বাস করে কুমিরের সাথে ফাইট করা যায় না ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক আওয়ামী নেত্রীর ফেইসবুক স্টেটাসে পুরো দেশের একটি বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে । জনগণের ভোটে যেহেতু এখন আর নেতা হতে হয় না , তাই সবাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে । ফারহানা মিলি নামের ঐ নেত্রী রাজনীতিকে সেক্সনীতি বলে অভিহিত করেছেন । তিনি জানিয়েছেন কী প্রক্রিয়ায় তার দলে নারী নেত্রীরা পদ পদবী দখল করছেন । পুরো সমাজটিই এই ধরনের অনাচারে ভরে যাচ্ছে । তার সেই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে ।
তার এই স্ট্যাটাস অনেককে অন্য এক আওয়ামী নেতার আমার ফাঁসি চাই বইটির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে । সরকার সেই বইটি নিষিদ্ধ করলেও সেই বইয়ের প্রতিটি লাইন সবার মনে গেথে গেছে ।
অবৈধ এই সরকারের শাসন যত লম্বা হবে , ততই রেন্টুর বইয়ের গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে যাবে । নতুন নতুন রেন্টু ও ফারহানা মিলিদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে । প্রত্যন্ত অন্চল থেকে কেউ একটি সত্য কথা লিখলেই সারাদেশ সেটা লুফে নিবে । রাতারাতি এরা বিখ্যাত হয়ে পড়বে ।
.........................................................................
মাঝে মাঝে ভাবি , কেউ কি এই জাতির উপর আসলেই কোনো প্রতিশোধ নিচ্ছে ?
ফারহানা মিলির স্ট্যাটাস সেই ভয়টি বাড়িয়ে দিয়েছে ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন