বাংলাদেশ বার্তাঃ নোয়াখালীতে বারো বছরের পুত্রকে বেধে রেখে চল্লিশ বছরের বিধবা মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে । অত:পর সালিশে ধর্ষকদের কয়েকবার কান ধরে উঠবোস করানো হয় এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় । পুরো ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে এটাকে ধর্ষণের জরিমানা না বলে ধর্ষণের ফি বলাই শ্রেয় হবে । সেই ফি খুব বেশি না । মাত্র ১২০ আমেরিকান ডলার । অনেক দেশে এই ডলার দিয়ে প্রি পেইড এরেন্জমেন্টও করা যায় না ! হায়রে আমার সোনার বাংলাদেশ !
সেই খাজেগানে মজলিশে ধর্ষককে দিয়ে ঐ ধর্ষিতাকে মা ডেকে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয় । সত্যিই চমৎকার বিচার ! ঐ ধর্ষণ করে মহিলাকে যতটুকু না কষ্ট দিয়েছে এই - ধর্ষককে দিয়ে মা ডাকিয়ে এবং ক্ষমার নাটক করে এর চেয়েও বড় আঘাত দেওয়া হয়েছে ।
এদেশের মানুষ সত্যিই অসহায় হয়ে পড়েছে । দেশটি কোন ধরনের সালিশদার বা সামাজিক নেতৃত্বের হাতে চলে গেছে তা উপরের ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতেও নাকি এখন এরকম কোর্ট বসে । সেসব কোর্টে যা সাব্যস্ত হয় সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা তা মেনে না নিয়ে পারে না । কারন জলে বাস করে কুমিরের সাথে ফাইট করা যায় না ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক আওয়ামী নেত্রীর ফেইসবুক স্টেটাসে পুরো দেশের একটি বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে । জনগণের ভোটে যেহেতু এখন আর নেতা হতে হয় না , তাই সবাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে । ফারহানা মিলি নামের ঐ নেত্রী রাজনীতিকে সেক্সনীতি বলে অভিহিত করেছেন । তিনি জানিয়েছেন কী প্রক্রিয়ায় তার দলে নারী নেত্রীরা পদ পদবী দখল করছেন । পুরো সমাজটিই এই ধরনের অনাচারে ভরে যাচ্ছে । তার সেই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে ।
তার এই স্ট্যাটাস অনেককে অন্য এক আওয়ামী নেতার আমার ফাঁসি চাই বইটির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে । সরকার সেই বইটি নিষিদ্ধ করলেও সেই বইয়ের প্রতিটি লাইন সবার মনে গেথে গেছে ।
অবৈধ এই সরকারের শাসন যত লম্বা হবে , ততই রেন্টুর বইয়ের গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে যাবে । নতুন নতুন রেন্টু ও ফারহানা মিলিদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে । প্রত্যন্ত অন্চল থেকে কেউ একটি সত্য কথা লিখলেই সারাদেশ সেটা লুফে নিবে । রাতারাতি এরা বিখ্যাত হয়ে পড়বে ।
.........................................................................
মাঝে মাঝে ভাবি , কেউ কি এই জাতির উপর আসলেই কোনো প্রতিশোধ নিচ্ছে ?
ফারহানা মিলির স্ট্যাটাস সেই ভয়টি বাড়িয়ে দিয়েছে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন