ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ইডেন মহিলা কলেজের প্রতিবাদী ছাত্রী লুৎফুন্নাহার লুমার (নীলা) গল্প এটি।

বসে আছে প্রতিবাদী ছাত্রী লুৎফুন্নাহার লুমার (নীলা)
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দমন নিপীড়নের সময় ইডেন কলেজের এক ছাত্রী রাস্তায় বসেছিলেন নিশ্চিন্তে। প্রতিবাদ আর স্পৃহা ছিল তার চোখে মুখে। যেন কোন ভয় নেই ভাবলেশহীনভাবে বসে আছেন তিনি। অথচ পুলিশের তাড়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা দৌড়াচ্ছেন। টিয়ারশেল থেকে বাঁচতে নাক চেপে এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছেন। অথচ ওই ছাত্রী বসে আছেন ঠায়। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের প্রতিবাদী ছাত্রী লুৎফুন্নাহার লুমার (নীলা) গল্প এটি।
এই আন্দোলনকারী পুলিশের লাঠিচার্জের ভয় না করে রাস্তায় বসে ছিলেন। এমনকি পুলিশের টিয়ারসেল ও টিয়ারসেলের ধোঁয়ার মধ্যেও তিনি রাস্তা থেকে ওঠেনি। পরে পুলিশ তাকে টেনে ছিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলে নিয়ে যায়। তার এই ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রতিবাদী ওই ছাত্রী লুৎফুন্নাহার লুমা (নীলা) ছোট বেলায় বেড়ে উঠেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে। এসএসসি ও এইচএসসি সেখানে শেষ করে ভর্তি হন ইডেন মহিলা কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে।
ব্যানারসহ প্রতিবাদী ছাত্রী লুৎফুন্নাহার লুমার (নীলা)
নীলা সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ই মার্চ রাতে দ্রুত ঘুমাতে গিয়েছিলাম পরের দিন (১৪ই মার্চ) সকালে আন্দোলনে যাবো বলে। সকালে যখন আন্দোলনে আসব তখন কোন সঙ্গী পাচ্ছিলাম না। একা একা আসতে খুব খারাপ লাগছিল। কিন্তু ফিরে যাইনি। কলেজের হোস্টেল থেকে বের হয়ে সোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে চলে এসেছিলাম। পরে রাস্তায় দেখি বিভিন্ন শত শত শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগের দিকে যাচ্ছে।
রাস্তায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে ব্যারিকেড দেয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় আমি রাস্তার মাঝখানে বসে ছিলাম। পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে; কিন্তু আমি সেখান থেকে নড়িনি। এ সময় শুধু ভয় হচ্ছিলো যদি মরে যাই লাশ টা বাড়ি ফিরবে তো?” এসময় কেউ একজন আমাকে বলছিল জুতা পড়ুন কখন পুলিশ আবার হামলা করে। এ কথা শুনে শুধু হেসেছিলাম। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে নিয়েছিলাম যা হবার হয়ে যাক আমি এখান থেকে এক চুল পরিমাণ ও নড়বো না। বাঁচতে হলে বৈষম্যহীন ভাবে বাঁচবো নাই মৃত্যু হোক। নিজের কথা রেখেছিলাম; পুলিশ যখন টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছিল তখন ড্যাব ড্যাব করে তা দেখছিলাম।
তিনি বলেন, কতটা নির্মম হলে এটা করতে পারে তা ভাবছিলাম। শ্লোগান দেওয়া বন্ধ করিনি। যখন দেখছিলাম চোখ মুখ জ্বলতে শুরু করেছে তখন মুখে কাপড় পেঁচিয়ে দিয়েছিলাম। কোন দিকে তাকাইনি। নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলাম। দুইজন মহিলা পুলিশ এসেও আমাকে টেন তুলতে পারছিল না। তখন চারজন মিলে টেনে তুলেছে আমাকে। একটুও ভয় পাইনি।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশ নামিয়ে আনাসহ ৫ দফা দাবিতে গত ১৪ই মার্চ অান্দোলনে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় পুলিশের টিয়ারশেল আর গুলির মুখে শিক্ষার্থীরা মাঠ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে ইডেন কলেজছাত্রী নীলা দেখিয়ে দিয়েছেন আন্দোলন কিভাবে করতে হয়। আন্দোলনে বিভীষিকার মুখেও তিনি মাঠ ছাড়েননি। রাস্তায় একাই বসেছিলেন। তার ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
সূত্রঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন