বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, জঘন্যতম রাষ্ট্রীয় দমন নিপীড়নের পরেও দেশ ও ইসলাম রক্ষায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা আপোষহীন। দ্বীনের পথে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে এ আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সর্বদা প্রস্তত। গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে ইসলামী আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখার সাথী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি যোবাইর হোসাইনের পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন। এসময় কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়্যুবি, শিক্ষা সম্পাদক রাশেদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, ত্যাগ কুরবানী ইসলামী আন্দোলনে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। রাসূল স: নবুয়তি জিন্দেগিতে ত্যাগ ও কুরবানির নমুনা পেশ করেছেন। সকল নবী-রাসূলকে ত্যাগ ও কুরবানির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে হয়েছে। সাহাবীগণ ত্যাগ ও কুরবানির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন আমাদের জন্য। একইভাবে যুগে যুগে যারা ইসলামের আলোকে সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছেন তাদেরকেও ত্যাগ ও কুরবানির নজরানা পেশ করতে হয়েছে। আজকের যুগেও যারা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও জালিমদের বহুমাত্রিক জুলুমের শিকার হচ্ছেন। জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের কর্মীরা ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে যে নজির স্থাপন করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করেছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের উপরে অবৈধ সরকার যে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে তা নজীরবিহীন। ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে। সরকারের এসব ষড়যন্ত্র ও নির্যাতন চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মনোবল ভাংতে পারবে না। বরং জুলুম নির্যাতন যত বাড়বে নেতাকর্মীদের ঈমান তত বেশী শক্তিশালী হবে। সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, অপপ্রচার ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা ধৈর্য্য, সাহসিকতা ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে মোকাবেলা করবে।
তিনি সাথীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে অটল অবিচল। সময়ের আবর্তনে যেমনি রাতের গভীরতার পর সুবহে সাদিকের আলোকরশ্মি দেখা দেয়। সময়ের ব্যবধানে জালিমরা পরাজিত হয়েছে সবসময় এবং আগামীতেও তারা পরাজিত হবেই। আর মজলুম মানবতা খুঁজে পাবে ন্যায় ও ইনসাফের সৌধের ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি সুন্দর সমাজ। এই জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, হিকমাত ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা। যে সমাজ ব্যবস্থা আমরা কায়েম করতে চাই সে সমাজের মানুষের কাছে বিশেষ করে ছাত্রদের মাঝে ইসলামের আহবান পৌঁছাতে হবে। কোন অপকৌশলের কাছে ইসলামী আন্দোলন মাথানত করবে না। সৎ, দক্ষ ও আদর্শ মানুষ গড়ার কাজ যে কোন মূল্য অব্যাহত রাখতে হবে। সকল প্রতিকূলতার মোকাবেলা করে কুরআনের আলোকে একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবই ইনশাআল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন