ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

সাঈদী নিয়ে বক্তব্য দেয়া সেই বক্তাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা!


বাংলাদেশ বার্তাঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেয়া সেই বক্তা মঈনুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান মুন্সী বিমুল বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাহফিলের প্রধান বক্তা মঈনুল ইসলাম সরকারবিরোধী আলোচনা শুরু করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাহাঙ্গীর আলম সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন। পুনরায় কাজী জাহাঙ্গীর আলম ওই বক্তব্য থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে মঞ্চে বসে থাকা বক্তাদের প্রায় ২৫০ অনুসারী উত্তেজিত হয়ে কাজী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে কাজী জাহাঙ্গীরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে।

এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার পরের দিন সন্ধ্যায় ওয়াজ মাহফিলের পার্শ্ববর্তী ঝোপের মধ্যে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ৩টি ককটেল দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল উদ্ধার করে। আসামি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ককটেলগুলো ওখানে রেখেছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ উপজেলার ছোটখারকান্দি গ্রামবাসীর উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাত ১১টার দিকে মাহফিলের প্রধান আকর্ষণীয় বক্তা মঈনুল ইসলাম ওয়াজ করেন। এ সময় তিনি যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্রখ্যাত আলেম ও নিরপরাধ হয়েও জেল খাটছেন উল্লেখ করে সাঈদী সম্পর্কে মন্তব্য করেন।

সাঈদী সম্পর্কে আরও কিছু কথা বলার জন্য উপস্থিত লোকজনের কাছে অনুমতি চান তিনি। এ সময় মাহফিলের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম ওই বক্তাকে ওয়াজ করতে নিষেধ করেন এবং তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন।

এতে মাহফিল শুনতে আসা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে আ’লীগের ওই নেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে উত্তেজিত লোকজন। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন