স্বপ্ন পূরণে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো মানুষগুলোর কষ্ট যেন প্রতিনিয়ত বাড়তেই আছে। এদেশে নানা রকম নিয়ম-কানুনে যেমন বিপাকে সৌদি প্রবাসীরা, তেমনি দিন দিন বাড়ছে বেকারত্ব। এছাড়া দালালের মিথ্যা আশ্বাসে না বুঝেই সৌদিতে পাড়ি দিচ্ছেন বহু বাংলাদেশি।
বাহাদুরের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ। আদম দালালের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভিসা দেয়ার কথা সুপারমার্কেটে। ইতোমধ্যে তাদের ৬ লাখ টাকা দেয়াও হয়েছে। কিন্তু ভিসা করেছে দারোয়ানের।
পরবর্তীতে বাহাদুরকে ইকামা বানিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তাকে ইকামাও বানিয়ে দেয়া হয়নি। একটা সময় ইকামা না থাকায় পুলিশ বাহাদুরকে আটক করে। পাসপোর্ট দেখিয়ে সৌদি পুলিশ থেকে বাহাদুর মুক্তি পায় কিন্তু বাংলাদেশি দালালের কাছ থেকে মুক্তি মেলেনি।
কাজের সঙ্গে ভিসার মিল না থাকায় সৌদির জেদ্দায় দালালের দ্বারস্থ হন বাহাদুর। দালালরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করছেন।
বাহাদুর বলেন, দালালরা আমাকে দোকানের ভিসা দেবে বলেছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে তারা প্রতারণা করেছে। বাসার দারোয়ানের (আমেল মঞ্জিল ভিসা) ভিসা দিয়েছে। ৬ মাস পরেও চুক্তি অনুযায়ী ইকামা দেয়নি। ইকামা না থাকলে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়।
তিনি বলেন, কিছুদিন পর আমি দালালদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করি। তারা আমাকে বাসায় ডেকে প্রচুর মারধর করে। আমাকে রক্তাক্ত করেছে। এখানে দেখার মতো কেউ নেই। চোখে ক্ষত হয়েছে। এছাড়া দালালরা হুমকি দিয়েছে মারধরের কথা। পুলিশকে বা অন্য কাউকে জানালে আমাকে মেরে মরুভূমিতে ফেলে দেবে। দুনিয়া থেকে হারিয়ে দেবে।
ভিসা কীভাবে নিয়েছেন জানতে চাইলে বাহাদুর বলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়ন লোহারপুলের দুলাল এবং সাইফুলের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ভিসা নেন। পরে জানতে পারি এদেরই একটা চক্র সৌদিতে রয়েছে।
মারধরের বিষয়টি সৌদি আরব শাখা ছাত্রলীগ শাওন আহমেদ প্রিন্স ও এম শাহদাত হোসাইন পাটোয়ারীর নজরে আসে। এরপর ওই ছাত্রলীগ নেতারা বিষয়টি সমাধানের ও দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন