ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

খুবই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে লিখছি- মুহিউদ্দিন রাশেদ

বাংলাদেশ বার্তাঃ দক্ষিণ চট্টগ্রাম অর্থাৎ কক্সবাজার রুটে আমার গ্রামের বাড়ী হওয়ায় প্রায় সময় আমাকে সেদিকে যাতায়াত করতে হয়। ইদানীং বেশ কয়েকবার দূরপাল্লার বাসে চট্টগ্রাম ফিরতে হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসগুলো একটু দ্রুত পৌঁছে বিধায় আমি পদুয়া হতে চট্টগ্রাম আসার লক্ষ্যে একটি বাসে উঠে পড়ি। পুরো গাড়ির সিটগুলো কানায় কানায় পূর্ণ তাই কোন রকম পিছনের একটি সিটে বসতে হল। সামনের দিকে সিট দেওয়ার অনুরোধ জানালে সুপারভাইজার দোহাজারী এসে একটি সিটের ব্যবস্থা করে দেয়। যথারীতি গাড়িটি নতুন ব্রীজ (কর্ণফুলী ৩য় সেতু) পার হলে পুলিশ চেক পোষ্টে থামতে বাধ্য হয়। নিয়মানুসারে তাদের চেক চলছে।
আমার পাশে বসা এক ভদ্রলোক আসছিলেন পর্যটন নগরী কক্সবাজার থেকে, তার কাছে চালানী টাইপের দুটো সুটকির প্যাকেট ছিল। পুলিশের এক সদস্য তার কাছে জানতে চাইল তাতে কি কোন "ইয়াবা" আছে কিনা! ভদ্রলোক কিছুটা বিব্রত অবস্থায় রাগতস্বরে তাকে না সূচক জবাব দেন। তাতে পুলিশ সদস্য সন্তুষ্ট হতে পারে নি। এবার জেরা শুরু করল। এক পর্যায়ে ভদ্রলোক জোর গলায় তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ বলে তাকে তার প্যাকেট দুটো এগিয়ে দিলেন। এবার পুলিশ সদস্য তাকে সন্দেহমুক্ত করে ছেড়ে দিল।
আমার সামনের সারিতে পাশাপাশি বসা দুজন বোরকা আবৃতা যুবতী ছিল। অপর পাশে ছিল আরো দুজন গ্রাম্য মডার্ন টাইপের বোরকা বিহীন যুবতী। বোরকা-ওয়ালীর দিকে সিভিল পোশাকে দুজন ছেলে এসে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করা শুরু করল। তাতে মেয়ে দুটো অনেকটা ঘাবড়ে যায়। এক পর্যায়ে আরো দুজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে আগের ছেলে দুটোর সাথে কানাকানি করে মহিলা দুজনকে গোপনকক্ষে চেক করতে হবে বলে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে গেল।
এদিকে ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করলে কয়েকজন যাত্রী মেয়ে গুলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। তা শুনে সুপারভাইজার অট্টহেসে বলল- "ভাই এগুলো তাদের নিয়মিত কাজ, যতক্ষণ রাজী করাতে পারবে না ততক্ষণ ছাড়বে না। প্রয়োজনে তাদের (পুলিশের) কাছে জমা রাখা "ইয়াবা" দিয়ে হলেও বাধ্য করবে"। কথাটা শুনে গা শিউরে উঠল। হয়ত তাদেরকে চেক করতে সময় লাগত সর্বোচ্ছ পাঁচ মিনিট, তবু কেন তাদের নামিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশ গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল! ঠিক কয়েকদিন আগের দৃশ্য ভেসে উঠল মনঃষ্পটে, সেদিনও একজন বোরকা পরা যুবতী নারীকে নামিয়ে নিয়েছিল একই কায়দায়।
আমরা কোন সমাজে বাস করি! যেখানে নারীদের কোন নিরাপত্তা নেই! খোদ যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে রত তাদের হাতে আমার দেশের মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীন। অথচ নারী দিবসের উৎসব পালনে আমরা কতইনা এগিয়ে! নারীরা বিশেষ করে বোরকার প্রতি এত ঘৃণা! নাকি লোভ? বোরকা পড়েনি বলে তাদের প্রতি সন্দেহের তিল মাত্র স্পর্শ করল না? তাহলে কি ইয়াবা পাচারে বোরকাই দায়ী? নাকি বর্ডার পার করা প্রশাসনের ঐ সমস্ত দায়িত্ববানরা! যারা এতদঞ্চলে ইয়াবা নামক বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে উঁতপোতভাবে জড়িত???

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন