ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

কাদের মোল্লার বিচার কি শেষ হলো? ...এডভোকেট সাইফুর রহমান

কাদের মোল্লার বিচার কি শেষ হলো? এডভোকেট সাইফুর রহমান সহ-সম্পাদক, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েসন। ১২ ডিসেম্বর ২০১৩, রাত ১০.১ মিনিট মানব ইতিহাসের এক নির্মম ঘটনা । শুধুমাত্র মৃত্যুদন্ড দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন ১৯৭৩ রায়ের পর সংশোধন, ২০০৯ সালে অনুরুপ আর একটি সংশোধনীর মাধ্যমে কাদের মোল্লাসহ অন্যান্য আসামীদের এই প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা যা ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত। ফেীজদারী মামলায় অভিজ্ঞ বিচারপতি জনাব এম, এ ওহাব মিয়ার রায় পর্যালোচনায় দেখা যায় শুধুমাত্র মোমেনা নামক একজন এই মামলার অন্যতম সাক্ষী, যদিও তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট কাদের মোল্লার নাম বলেন নি। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংরক্ষিত মোমেনার বক্তব্যেও কাদের মোল্লার নাম নেই। এরকম দুর্বল সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে মৃত্যুদন্ড দেয়া মানব ইতিহাসে বিরল ঘটনা যা ভবিষ্যতে অগনিত আসামীর খালাসের পথ রুদ্ধ করবে। কাদের মোল্লা আর কাদের কসাই এক ব্যক্তি নয় একথা বিশ্ববাসী বুঝলেও আমরা আইনজীবীরা মাননীয় বিচারপতিদের বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে জনাব কাদের মোল্লা এবং তার পরিবার পরিষ্কার বুঝেছেন যে আইনজীবিদের শক্ত অবস্থানের পরও শুধুমাত্র সরকার নিজের করা আইন, বিচার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের সবকিছুকে কাজে লাগিয়ে একটি ঘটনার পরিসমাপ্তি করল। কাদের মোল্লার মনোভাব, সাহসী অবস্থান, এবং মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে মহান আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস, এই মামলার অসারতা প্রমান করেছে। জেলখানায় জনাব এ,টি,এম আজহার সাহেবের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তার সাথে কথা বলার সময় প্রায় ৬/৭ মাস পূর্বে তিনি জনাব কাদের মোল্লার সম্পর্কে এরুপ আশংকা ব্যক্ত করে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন এতে জামাত নেতাদের দুরদর্শীতা সম্পর্কে আমার আস্থা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। জনাব এ,কে,এম ইউসুফ সাহেবের একজন আইনজীবি হিসাবে আমার এ বিশ্বাস জন্মেছে যে, বর্তমান বিচারাধীন জামায়াত নেতারা কোনরুপ অপরাধ করেন নি। তাই তারা তাদের শেষ পরিণতি নিয়ে যতটুকু চিন্তিত তার চেয়ে বেশি চিন্তিত বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে এবং ইসলামী বিপ্লবের সম্ভাবনা নিয়ে। একটি বিষয়ে আইনজ্ঞ, আন্তর্জাতিক বিশ্ব এবং আমাদের মাননীয় বিচারপতিগণ একমত যে, একটি বিশেষ আইনে এই বিচার প্রক্রিয়া যা প্রশ্নের উর্ধে নয়। কারন সরকার নিজের মতো করে যখন প্রয়োজন তখন আইনটি সংশোধন করে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে জাতিকে দায় মুক্তির দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিতে চায়। সুতরাং বিষয়টি পুরো বিতর্কিত এবং কমপ্লিট জাস্টিস এর পরিপন্থি। তবে একটি বিষয়ে আমি আশাবাদী যদি ভবিষ্যতে ন্যায় বিচার বান্ধব সরকার আসে তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন ১৯৭৩ এর বিতর্কিত ধারা সমূহ সংশোধন করে পুরো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে মুল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এ আইনে যারা কাজ করবে তাদেরকে গুড ফেইথ এ কাজ করছে বলে যে দায়মুক্তি দিয়েছে তা নতুন করে পর্যালোচনার সুযোগ আসবে। সে সময়ে কসাই কাদেরের নতুন করে বিচার শুরু হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হবে তখনি কাদের মোল্লা নিরপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের গলায় কাদের মোল্লার ফাসির রশিটি পরিয়ে দিতে আইন আদালত কেউই কুন্ঠাবোধ করবে না। সেদিনই কসাই কাদের ও তার দোসররা কাদবে আর কাদের মোল্লা ও তার লাখও ভক্তরা হাসবে। তখনই বিশ্ববাসী বুঝতে পারবে কেন একটি বিশেষ গ্রুপকে পূরো রাষ্ট্রযন্ত্র কাজে লাগিয়ে একটি স্পর্ষকাতর বিষয়ে জোর পূর্বক পরিসমাপ্তি ঘটালো। তখনই প্রমান হবে আইনের হাত কতো লম্বা, ভবিষ্যত অবশ্যই বলে দিবে আইনের হাতকে আর কত লম্বা করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন