আগামীতে একটি স্বনির্ভর এবং শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ। এটাই প্রত্যাশা ছিল এদেশের নাগরিকদের।
কিন্তু সেই প্রত্যাশা এবং স্বপ্নে বড় আকারের ফাটল ধরেছে। চরম অনিশ্চয়তায়
দিন পার হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের। সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের আমাদের জাতীয়
পতাকাটি পতপত করে উড়লেও আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ চরম হুমকির
মধ্যে। হয়তো এ কথাটি অনেকে উড়িয়ে দিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতাকে এখন আর পাশ
কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর
নানা রকমের কু-কৌশলী আক্রমণ করে যাচ্ছে। তাদের এদেশীয় এজেন্ট আ.লীগকে
কুপরামর্শ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশী দেশপ্রেমিকদের
বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে তাদের নীলনকশা ও কৌশলে অবৈধ উপায়ে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী মহাজোট। তারা আজ পর্যন্ত
অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আছে। প্রশাসনের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়
ভারতীয় গোয়েন্দা চরদের বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তৈরি করে ভারতীয়রা
বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি
করেছে। ফলে কয়েক হাজার গার্মেন্ট শিল্প কারখানা বন্ধও হয়ে গেছে। বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক অবস্থা আজ চরম নাজুক অবস্থায়। ব্যাংকগুলো ভারতীয় চরেরা লুট করে
খালি করেছে। ভারতীয় সরকারের রিমোট কন্ট্রোলে চলছে আ.লীগ ও শেখ হাসিনা। শেখ
হাসিনার মতো একজন চরম রূঢ়, উগ্র স্বভাবের নারীকে ভারত উসকানি ও কুপরামর্শ
দিয়ে তারা তাদের মিশন সফল করছে। গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ছিল পৃথিবীর
ইতিহাসে একটি নির্মম অধ্যায়। সেদিন পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে
রক্তক্ষরণ হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ সেদিন কেঁদেছে। গত ৩০ নভেম্বর ২০১৩
আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদাজান ইন্তেকাল করেছেন। সেদিন আমি স্বাভাবিকভাবেই
কেঁদেছিলাম। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর দেশের একজন কৃতী সন্তান, নিরপরাধ ব্যক্তিকে
যখন বিচারের নামে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো, সেদিন আমার হৃদয়ে বড়
ধরনের আঘাত এসেছে। চোখের পানিতো ঝরেছেই, আমি এই ব্যথা আজীবন হয়তো সারাতে
পারব না। শ্রদ্ধেয় আবদুল কাদের মোল্লা শাহাদত্বরণ করে হাসতে হাসতে
জান্নাতের দিকে চলে গেলেন।
কিন্তু এজন্য আমাদের কাঁদতে হবে আজীবন। আমরা বড়ই অলস। তাই আজ আমাদের চোখের
সামনে আমাদের একজন নিরপরাধী ভাইকে ভারতীয় মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করতে সক্ষম হলো। ইসলামের আইন তো দূরের কথা, দেশের
প্রচলিত যে আইন ও সংবিধান আছে তার থেকে ন্যূনতম ন্যায়বিচার পাননি শহীদ
আবদুল কাদের মোল্লা। কোনো সভ্য দেশে এরকম অবিচার হতে পারে না। কোথাকার কোন
রাজাকার কসাই কাদেরের নামে একজন দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধাকে এই
ফ্যাসিস্ট সরকার হত্যা করল। শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার একটাই দোষ ছিল—তিনি
ইসলামী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। সেজন্য বাতিল শক্তি তাকে বিচারের নামে হত্যা
করল। সব অবিচারের পরও শহীদ আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর আগে
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক চেয়ারম্যান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বহু আন্তর্জাতিক
সংস্থার ব্যক্তিরা তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা না করার জন্য অনুরোধ
করেছিলেন। এমনকি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেফ তায়েফ এরদোগান শেখ হাসিনাকে
ফোন করে কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। শেখ
হাসিনা তাদের কাউকেই ন্যূনতম মূল্য দেয়নি। একমাত্র তার গুরু মুরব্বি ভারতীয়
বাবুদের খুশি করার জন্য দেশপ্রেমিক কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা
করা হলো। ভারতীয়রা তাদের নোংরা অশ্লীল ফিল্ম এবং মাদক দিয়ে আমাদের দেশের
লাখ লাখ তরুণের জীবন ধ্বংস করেছে। এই তরুণরা ভারতীয় ফিল্মে ও মাদকে মাতাল
অবস্থায়। তাই তারা সচেতন হচ্ছে না যে ভারতীয়রা কীভাবে আমাদের দেশের ক্ষতি
করে যাচ্ছে। তারা এখনও পুরোপুরি এই স্বাভাবিক বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারছে
না। ভারতীয়রা আমাদের দেশপ্রেমিক বিডিআর অফিসারদের হত্যা করে আমাদের সীমান্ত
অরক্ষিত করে রেখেছে। এসব মিশন অত্যন্ত কৌশলে শেখ হাসিনা ও তাদের চরদের
মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে। শেখ হাসিনা নিজে তো ভারতীয় পুতুল আছেনই। তার আশপাশে
সব ভারতীয় চরদের দাপট। তাদের পরামর্শের এক চুল বাইরে তিনি যেতে পারছেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন। তিনি
কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার পেতে শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ২৭টি
বছর তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেই নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর পর তার
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমাদের দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট
আবদুল হামিদ দক্ষিণ আফ্রিকা ছুটে গেছেন। অথচ সেই সময়ে বাংলাদেশের একজন
কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি আবদুল কাদের মোল্লাকে ইসলামী আদর্শ থাকার কারণে ফাঁসিতে
ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো। কী অদ্ভুত আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থা! বাংলাদেশের
ভবিষ্যত্ অনেক উজ্জ্বল। বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশের প্রাকৃতিক অনেক
সম্পদ আছে। আছে বিশাল জনশক্তি। তাই বার বার প্রতিবেশী সন্ত্রাসী দেশ ভারত
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় ফেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের সুযোগ নিচ্ছে। ১৬
ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। এই বিজয় দিবসের আগে সারাদেশে হেঁটে হেঁটে জাতীয়
পতাকা বিক্রি করেছেন অনেকে এবং সেই জাতীয় পতাকা কিনে অনেকেই বাড়িতে,
গাড়িতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঝুলিয়ে রাখছেন। এসব দৃশ্য দেখতে দারুণ লাগে।
অহঙ্কার লাগে। কিন্তু কী অদ্ভুত বিষয়! ভারত যেভাবে বাংলাদেশ নিয়ে মাতুব্বরি
করছে তা দেখে মনে হয় দেশটি তারা দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালে
যুদ্ধ সময়ে ভারত বাংলাশের জাতীয় সম্পদ অধিকাংশ লুট করে নিয়ে গেছে। ভারত
অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে বিভিন্ন অপারেশন চালিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করছে। লুট
করছে মূল্যবান সম্পদ। বিশেষ করে আওয়ামী মহাজোট নামের ফ্যাসিবাদী সরকার
ক্ষমতায় আসার পর ভারত বাংলাদেশের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ লুট করেছে।
বৈষম্যমূলক একাধিক চুক্তি করেছে। তাদের মিশন অত্যন্ত নোংরা এবং ভয়ানক।
আগামীতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বময় তার অবস্থান প্রতিষ্ঠা করবে, এটা
ভারত সহ্য করতে পারছে না।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/25/229637#.UrpwS_uJnYo
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স
লেবেল
- খবর
- মতামত- বিশ্লেষণ
- বিবৃতি
- রাজনীতি
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
- আন্তর্জাতিক
- প্রচ্ছদ
- আইনশৃঙ্খলা
- শোক সংবাদ
- বিবিধ
- স্মৃতি
- আইন-আদালত
- জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- শিক্ষা
- ডেমোক্রেসি
- ইসলাম
- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- ইসলামী আন্দোলন
- সাহিত্য-সংস্কৃতি
- হাদীসের বাণী
- শীতবস্ত্র বিতরণ
- সভ্যতা
- ইতিহাস
- গল্প
- মিডিয়া
- শোকবাণী
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- IIUC News
- চিঠি
- কৃষি
- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- প্রবাস
- গবেষণা
- আবিস্কার
- কুরআন
- সম্পাদকীয়
- বাণী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- সাইবার ক্রাইম
- দারসুল কুরআন
- ব্রেকিং নিউজ
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
উন্নত বাংলাদেশের সামনে ভারতই বড় বাধা.... সাইফুল ইসলাম তানভীর
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন