ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনী ও আওয়ামী তাণ্ডব

সাতক্ষীরা -বিধ্বস্ত এক জনপদ সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর ৩ দিনের অভিযানে সাতক্ষীরা বলতে গেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দেখলে মনে হয় কোন ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ। স্বচক্ষে এ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার নয়। এখানে-ওখানে জ্বলছে আগুন। বাতাসে বইছে কান্নার শব্দ। চারদিকে চিৎকার আর হাহাকার। সহায়-সম্বল হারিয়ে মানুষ পাগলপ্রায়। তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে গোটা জেলার পরিবেশ। স্বজনদের সন্ধান নিতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে বহু নারী ও শিশুকে। সবমিলিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলায় আইনের রক্ষকরাই ভক্ষকের ভূমিকায় ব্যস্ত রয়েছে। দেশের মানবাধিকার কর্মীরাও এ নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র ধারণ করতে পারছেন না। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা অব্যাহত রেখেছে।কোন কোন অপারেশনে পুলিশের অস্ত্রও বহন করতে দেখা যাচ্ছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইফনিয়নের চৌমুহনী, মকন্দুপর, ফরিদপুর, শ্রীধরকাঠি, হোগলা ও কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ও ভদ্রখালী গ্রামে যৌথবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র লোকজন জগদীশ, তাপস, বিশ্বনাথ, ইন্দ্রজিৎসহ ৫ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর দোকানপাট জ্বালিয়ে দিয়েছে। জানান, যৌথবাহিনী ও আওয়ামী লীগের লোকজন অভিনব কায়দায় ‘নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে লোকালয়ে ঢোকে। তাদের আওয়াজ শুনে মুসল্লিরা বেরিয়ে আসলে তাদের চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে কখনও লাঠিচার্জ আবার কখনও গুলি করে ফেলে রেখে হচ্ছে। কাউকে কাউকে চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানি না তাদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটে। আবার আহত অনেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। এলাকাবাসী আরওজানান,- উঠতি বয়সী মেয়েরা নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে গ্রাম ছেড়ে শহরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর যাদের কোন আশ্রয় নেই তারা জীবন বাঁচাতে দেহ বিলিয়ে দিচ্ছে ওইসব নরপশুদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একাত্তরে পাক-হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী শুনেছি। আর এবার দেখছি নিজ দেশের সরকারি বাহিনী আর সরকারি দলের লোকেরা সাধারণ মানুষের উপর কিভাবে পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে এ নির্যাতনের চিত্র যখন তুলে ধরবো তখন তারাই বলবে, তোমরা বর্বর যুগের বাসিন্দা ছিলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন