ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

বিরোধী দলের ফাঁদে সরকার !

বিরোধী দলের ফাঁদে পা দিয়েছে সরকার। আর এই ফাঁদ বেরিয়ে আসা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসির কর্মসুচি ছিল দাবি আদায়ের পাশাপাশি সরকারকে ফাঁদে ফেলার একটা কৌশল। কারণ বিরোধী দল আগেই ধরে নিয়ে ছিলো যে, কর্মসুচি ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে। তাকে বাসা থেকে বের হতে দেবে না সরকার। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল তাদের আন্দোলন কর্মসুচির পরিধি বাড়িয়ে দেবে যার দায় সরকারের ওপরে পড়বে। সেখানে জনগণ সরকারকে তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করবে। ২০১২ সালের ১২ মার্চ বিরোধী দলের ঢাকা চলো কর্মসুচি বাধা দেওয়ার জন্য সরকার নিজেই সমাবেশের কয়েকদিন আগে থেকে সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাকে বিছিন্ন করে দেয়। সে সময় সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথসহ ঢাকার গণপরিবহণগুলো বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেলসহ ফুটপাতের দোকানগুলো। সরকারের ওইসব পদক্ষেপ সে সময় দেশের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তবে সরকারের তখনকার সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে বিরোধী দল তাদের আন্দোলনের কৌশল হিসেবে বেছে নেয়। দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে শেষ মুহূর্তে প্রয়োগের জন্য আটতে থাকে তাদের আন্দোলনের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনাকে সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারলেই সরকার সেই ফাঁদে পড়বে। বর্তমান অবস্থায় সরকার বিরোধী দলের সেই কৌশলে পা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া গত ২৪ ডিসেম্বর একতরফা নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়ে ঢাকা অভিমুখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসুচির ঘোষণা করেন। এরপর থেকে কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকে আবারও ১২ মার্চের মত পুরোনো পথে হাটতে দেখা যায়। আগের মতোই সরকার সর্মথকদের দিয়ে বিরোধী দলের কর্মসুচি বানচাল করার লক্ষ্যে চালক লীগ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ডাকা হয় হরতাল। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীকে বিছিন্ন করা হয়। যাতে করে কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আসতে না পারে। বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। এমন কর্মকাণ্ডে সরকারকে পড়তে হয়েছে সমালোচনা মুখে। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে পণ্ড করে দেওয়ায় দেশবাসী এখন সরকারকেই দোষারোপ করছে। বিরোধী দল যেখানে হরতাল অবরোধ করে সেখানে সরকার নিজেই অবরোধ করে। এতে সাধারণ মানুষ সরকারের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে আন্দোলন অনেকটা সফল হয়েছে বলে মনে করছে বিরোধী দল। খালেদা জিয়াকে সরকার তার কর্মসূচিতে যেতে না দেওয়ায় সুযোগটাকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে অভিযাত্রা কর্মসূচি বাড়িয়ে দিয়ে সরকারকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে। এখন সরকার নিজেই নিজেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে বলে মনে করছেন বিরোধী দলের নীতি নির্ধারকরা। বিশ্লেষকদের মতে সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বিরোধী দল যদি বাধার মুখে তাদের কর্মসূচি আবারও বাড়ায় তাহলে এখান থেকে বের হয়ে আসা সরকারের জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে। যেমনটা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার যত বাধা দেবে তত আন্দোলন চলতে থাকবে, বাড়তে থাকবে। বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিরোধীদলীয় নেতাকে সমাবেশে যেতে বাধা এবং সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে মানুষের ওপর নিপীড়ন চালানো হলো তার প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হতে বাধ্য এবং এর ফলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও শিথিল হবে। উৎসঃ প্রাইমনিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন