ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আগামীকাল দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ১ জানুয়ারী/১৪ বুধবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচী সফল করার আহবান জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম খান

ঢাকা- ৩০ ডিসেম্বর /২০১৩ ইং, ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে আইন-শৃংখলাবাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের নারকীয় তান্ডব, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জনজীবন বিপর্যন্তকরণ, জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি, রাজধানীর সকল প্রবেশ মুখে চেকপোষ্ট বসিয়ে কথিত তল্লাসীর নামে জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি, কর্মসূচীতে যোগদানকারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী, নাজেহাল, নির্যাতন ও গণগ্রেফতার, পুলিশি বেষ্টনীতে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া, জনতার কর্মসূচীতে নস্যাৎ করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সরকারী ব্যবস্থাপনায় গণপরিবহন বন্ধ, জনমনে আতংক সৃষ্টি ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশব্যাপী ১৮ দলীয় জোটোর বিক্ষোভ ও ১ জানুয়ারী/১৪ বুধবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচী সফল করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করতেই বিরোধী দলীয় নেত্রীকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। তারা বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করে নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। সরকার জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করে দেশকে মেধা ও নেতৃত্বহীন করে দেশকে করদরাজ বানানোর জন্য কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রহসন করে ফরমায়েসী দন্ডাদেশের মাধ্যমে শীর্ষনেতাদের একের পর এক প্রাণদন্ডে দন্ডিত করছে। আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকেও অনুরূপ দন্ডে দন্ডিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মূলত শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘদিন আটক রেখে সরকার নিজেরাই মানবতাবিরোধী অপরাধ, মানবাধিকার ও সংবিধানের মারাত্মক লংঘন করছে। মূলত সরকার জনমতকে তোয়াক্কা না করে অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করতে পাতানো, প্রহসন ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের আয়োজন করেছে। কথিত নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদন্দ্বিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ায় প্রমাণ হয়েছে জনগণ ভাঁওতাবাজী ও তামাশার নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। মূলত দেশে গণতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসীবাদ জনতার ঘাড়ে চেপে বসেছে। আর বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে দেশের গণতন্ত্রকেই গৃহবন্দী করা হয়েছে। কিন্তু মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী ও গণতন্ত্রের বন্দীদশা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না বরং যেকোন মূল্যে বেগম খালেদা জিয়া ও হৃত গণতন্ত্রকে শৃংখল মুক্ত করবে। তিনি আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ আটক ১৮ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর চলাফেরায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘ মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’র প্রথম দিনে সুপ্রীম কোর্ট, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলা ও লাঠিপেটা করার পর আজ দ্বিতীয় দিনেও পুলিশের সহায়তায় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা সুপ্রীম কোর্টের আইজীবীদের উপর হামলা চালিয়েছে। রাজধানীর পথে পথে পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা যেভাবে মহড়া দিচ্ছে তাতে দেশবাসী ভীষণভাবে আতংকিত ও শংকিত। দেশের বিশিষ্টজনেরা সুপ্রীম কোর্টে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কার জনক হামলাকে উচ্চ আদালতের জানাজা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ফ্যাসীবাদী ও জুলুমজাজ সরকারের কোন বোধদয় হচ্ছে না। এ অবস্থায় কোন গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজে চলতে পারে না। মূলত অতিমাত্রায় ক্ষমতা লিপ্সা ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতেই সরকার দেশকে অগণতান্ত্রিক, অসহিষ্ণু, একনায়কতান্ত্রিক, ফ্যাসীবাদী, অসভ্য ও বর্বর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশে উদারনৈতিক গণতন্ত্র স্বীকৃত হলেও ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতি, অহংবোধ ও গণবিরোধী অপরাজনীতির কারণে দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি মুখথুবড়ে পড়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস, ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণ ও গণমানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জন্যই বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বাস্তবতা কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। মূলত সরকারী দলের দুর্নীতিবাজ নেতাদের রক্ষা করার জন্যই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন জনগণের সাংবিধানিক, মৌলিক ও নাগরিক অধিকার হলেও সরকার সংবিধান লংঘন করে গণমানুষের মৌলিক ও নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করছে। ফলে দেশ এখন ফ্যাসীবাদ, নৈরাজ্যবাদ, একনায়ক ও গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে যৌথবাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের উম্মত্ত পদচারণা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ভয়াবহ ধ্বংসলীলায় সারা দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচীতে বাধা দেয়নি, বিরোধী নেত্রীর সমাবেশ স্থলে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল না’ এমন গর্হিত মন্তব্য আওয়ামী লীগের নৈতিক ও আদর্শিক দেউলিয়াত্বই প্রমাণ করে। মূলত ‘ মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’তে সরকারের নির্লজ্জ, ন্যাক্কারজনক বাধা ও আইনশৃংখলাবাহিনী এবং সরকারী দলের সন্ত্রাসী অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ী ও নৃশংসতা জাতি সরাসারি প্রত্যক্ষ করেছে। আর মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী সমাবেশ স্থলে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তাও কারো অজানা নয়। পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সুপ্রীমকোর্টে হামলা চালালেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই হামলা শিবির, যুবদল ও ছাত্র দল করেছে বলে যে খিস্তিখেউর করেছেন তা হিটলারের প্রচারমন্ত্রী গোয়েবলসীয় মিথ্যাচারকেও হার হার মানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় জনগণকে ১/১১ কুশীলবদের সম্মর্কে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তার মনে রাখা উচিত ১/১১ এর ফসল ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের জরুরী সরকারকে তিনি তার আন্দোলনের সফল হিসাবে দাবী করেছিলেন। ফলে ১/১১ এর কুশীলবদের মহানেত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর আত্মস্বীকৃতি মেলে। তাই দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী ও তার তল্পিবাহক ‘খয়ের খা ‘ ঁদের সম্পর্কেই সতর্ক থাকতে হবে। মহানগরী আমীর বলেন, মূলত সরকারই পুরো রাজধানীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা যুগপৎভাবে বিরোধী দলকে কর্মসূচী পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পুলিশ পাহারায় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা জনগণ ও সাধারণ পথচারীদের সাথে মারমুখী আচরণ করছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীকে ৪ দিন যাবৎ তার বাসভবনে আটক রাখা হয়েছে এবং তাকে কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে না দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আজও তিনি কর্মসূচীতে যোগদানের চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় তিনি তা পারেন নি। এতে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না বরং তারা অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। মূলত এক ব্যক্তির জিদ ও ক্ষমতা লিপ্সার কারণে দেশ এখন আত্মঘাতি সংঘাত ও গৃহযুদ্ধের দ্বাড়প্রান্তে পৌঁছেছে। সরকার নিজেদের ক্ষমতা রক্ষা করর জন্য নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও জনগণের সাথে গণবিরোধী আচরণ করছে। কিন্তু জনতার রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে ক্ষমতাসীনদের শেষ রক্ষা হবে না বরং তাদেরকে রোমানিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক নিকোলাই চসেস্কুর ভাগ্য বরণ করতে হবে। মাওলানা খান বলেন, দেশ ও গণমানুষের অধিকার আদায়ে জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। জুলুমবাজ ও ফ্যাসীবাদী সরকারের জুলুম-নির্যাতন, দলন-পীড়ন, হত্যা-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও গণগ্রেফতার উপেক্ষা করে জনগণ ঘোষিত কর্মসূচী পালন করে জুলুমবাজ সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা জানিয়েছে। তারা এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কোন ভাবেই রাজপথ ছাড়ছে না। তিনি সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কর্মসূচী পালন এবং আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সারাদেশে ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ ও ১ জানুয়ারী/১৩ বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, নৌ ও রেল পথ অবরোধ কর্মসূচীসহ ঘোষিত সকল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করতে সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন