ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

সরকারকে ফাঁদে ফেলেছেন খালেদা জিয়া

বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার পূর্বঘোষিত 'গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা' কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সরকার ও তার দলীয় বাহিনী দমন অভিযান চালিয়ে পণ্ড করে দেয়ায় দেশবাসী দারুণভাবে ক্ষুব্ধ।
এ প্রসঙ্গে বিডিআর-এর সাবেক মহাপরিচালক জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আ ল ম ফজলুর রহমান জানান, "বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সমাবেশে যেতে বাধা এবং সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে মানুষের ওপর নিপীড়ন চালানো হলো তার প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হতে বাধ্য এবং এর ফলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও শিথিল হবে।"

তিনি আরো বলেন, "যেভাবে বিরোধীদলীয় নেত্রী বললেন, কর্মসূচি আগামী দিন পর্যন্ত বাড়ানো হবে যদি এটা বাড়তে থাকে তাহলে দেখা যাবে বিরোধীদলের কর্মসূচি সরকারই পালন করছে। এখানে থেকে বের হয়ে আসার তাদের জন্য মুশকিল হবে।" 

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব সাদেক খান বলেন, বেগম জিয়া তার অভিযাত্রা কর্মসূচি বাড়িয়ে দিয়ে সরকারকে ফাঁদে ফেলেছেন। এখন সরকার নিজেই নিজেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে।

সাদেক খান উল্লেখ করেন,সরকার বলেছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তাদের আপত্তি নেই। আজ সরকারই প্রমাণ করেছে, তারা বিরোধী দলের কোন কর্মসূচিই পালন করতে দেবে না। সরকার একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেই এ পর্যায়ে গেছে।
গতকাল রোববার বিকেলে নিজ বাড়ির ফটকে প্রায় এক ঘণ্টা গাড়ীতে অপেক্ষার পরও বের হতে না পেরে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আবার বাসায় ফিরে যান বেগম খালেদা জিয়া। এসময় গুলশানে তার বাসভবনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা সোমবারও চলবে।
এদিকে, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের ডাকা গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রাকে কেন্দ্র করে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বাইরের জেলা থেকে ঢাকায় আসার পথে বাধা দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গ্রেফতারও অভিযানও চালানো হয়েছে। বিরোধী দলের কর্মসূচী প্রতিহত করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সরকার দলীয় কর্মীরাও লাঠি-সোটা নিয়ে ব্যাপক মহড়া দেয়।
ঢাকামুখী এ অভিযাত্রার অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রোববার সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর ঘোষণা থাকলেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে।
দুপুর নাগাদ হাইকোর্ট এলাকায় আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় ও জলকামান দিয়ে পানি ছিটায়।

এদিকে, পুলিশের উপস্থিতিতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সমাবেশে হামলা চালায় মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এতে চার জন সাংবাদিক আহত হন।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ১৮ দলীয় কর্মসূচি সমর্থনে কার্জন হল থেকে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় শিক্ষকরা একটি মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের দিক যেতে চাইলে পুলিশ তাদের হাইকোর্ট মোড়ে বাধা দেয়। এ সময় প্রজন্ম লীগের ক্যাডাররা তাদের ওপর হামলা চালালে ছয়জন শিক্ষক আহত হন। তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে রাজধানীর মালিবাগে। রোববার বেলা ১২টায় সেখানে শিবিরের একটি বিশাল মিছিলের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন মনসুর নামে এক শিবির কর্মী।
১৮ দলের আজকের কর্মসূচি রুখতে ভোর থেকে কেরানীগঞ্জ দিয়ে ঢাকায় প্রবেশের ৩টি সেতু বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বুড়িগঙ্গা নদীর শতাধিক খেয়া বন্ধ করে দেয়।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুরিন্দা ও বাগবাড়ি এলাকায় রোববার দুপুরে ঢাকামুখী বিএনপির একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
রংপুর মহানগরীতে রোববার দুপুরে পুলিশ-বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় কোতোয়ালি থানার ওসিসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ওদিকে, নোয়াখালীর মাইজদীতে আজ দুপুরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'র সমর্থনে মিছিল বের হলে পুলিশ গুলি চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। উৎসঃ আইআরআইবি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন