ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

ঢাকা অভিমুখী অভিযাত্রা কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম খান


ঢাকা- ২৮ ডিসেম্বর /২০১৩ ইং, স্বৈরাচারী ও জুলুমবাজ সরকারের দলন-পীড়ন, জুলুম-নির্যাতন, যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে সারা দেশে আতংক ও ত্রাসের সৃষ্টি, গণগ্রেফতার ও গণহত্যাসহ সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও রক্ষুচক্ষু উপেক্ষা করে আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে, গণমানুষের ভোটাধিকার রক্ষায়, অপহৃত গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার, ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন এবং গণধিকৃত ও গণবিরোধী সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবীতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর রোববার ঢাকা অভিমুখী ‘ মার্চ ফর ডেমোক্রেসী কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের নির্দেশে যৌথবাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের তান্ডব, নৈরাজ্য ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ যৌথবাহিনী মোহাম্মদপুর থানা জামায়াতের আমীর জিয়াউল হাসানের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী, শিশু পুত্র-কন্যা ও ভাইকে গ্রেফতার করেছে এবং তারা বাড়ীতে ভাংচুর ও তছনছ করে নারকীয় তান্ডব চালানো হয়েছে। তারা বিগত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে ৩ জন নারী ও কয়েকজন শিশুসহ দু’শতাবিধক বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করেছে। সরকারের প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না নাবী, শিশু, বৃদ্ধ ও সম্মানিত অতিথিরা। যেকোন দুর্যোগ বা য্দ্ধুকালীন সময়েও নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হলেও ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগ সরকার সেসবের ধার ধারছে না বরং সরকারের প্রতিহিংসা ও রোষাণলে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী সমাজ, শিশু ও বৃদ্ধরা। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে অনুমতি না দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কলংকজন অধ্যায় রচনা করেছে। ফলে শুধু দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে হত্যা করা হয় নি বরং বহির্বিশ্বেও আমাদের অবাধ গণতন্ত্র চর্চাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, দলন-পীড়ন ও জনতার কন্ঠ রোধ করে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না বরং জনগণ সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে যেকোন মূল্যে ‘ মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’ কর্মসূচী সর্বাত্মভাবে সফল করবে। তিনি কথিত অভিযানের নামে দলন-পীড়ন, হয়রানী ও গণগ্রেফতার বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর উপর আরোপিত সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা দুর করে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় জনগণ যেকোন মূল্যে জীবন দিয়ে হলেও ঘোষিত কর্মসূচী সফল ও সার্থক করে তুলবে।

তিনি বলেন, সরকার অপশান, দুঃশাসন, জুলুম, নির্যাতন; দেশ, জাতিস্বত্ত্বা, গণতন্ত্র ও ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জনগণের সাথে হিংস্র হায়েনার মত আচরণ করেছে। তাদের বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সকল সীমা অতিক্রম করেছে। দেশেব্যাপী ৫ম দফার টানা অবরোধ কর্মসূচী সফলের পর ‘ মার্চ ফর ডেমোক্রেসী’ কর্মসূচী ঘোষণায় সরকারের মধ্যে জনগণ ভীতি অতিমাত্রায় বেড়েছে এবং তারা জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে বিভ্রান্ত ও ভন্ডুল করার জন্যই যৌথবাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে সারা দেশে নির্মম ধ্বংস লীলায় মেতে উঠেছে। মূলত সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের নামে যা করছে তা রীতিমত মানবতাবিরোধী অপরাধ। যৌথবাহিনী রাজধানীতে অভিযানের নামে গতকাল ( জুমাবার ) বিভিন্ন বাসাবাড়ী, দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নারকীয় তান্ডব চালিয়ে দু’শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে। তারা বাড়ীর আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর, তছনছ ও আতংক সৃষ্টি করে এবং গণগ্রফতার চালায়। সরকারের নির্দেশে অবলীলায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের গ্রেফতার করে নির্যাতন ও হয়রানী করা হচ্ছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার অনেক আগেই জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও মহাগনরী অফিস সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু আজ যৌথবাহিনী অতর্কিতভাবে পুরানা পল্টনস্থ মহানগরী অফিসে তল্লাসীর নামে ভাংচুর, আসবাসপত্র বিনষ্ট, অফিস তছনছ, মূল্যবান আসবানপত্র জব্দ, কর্মচারীদের অপদস্থসহ অফিসের ড্রাইভার আব্দুল জলিল, সিকিউরিটি গার্ড শামসুদ্দীন ও মেসবাহকে গ্রেফতার করেছে। যা শুধু অন্যায় নয় বরং রীতিমত অমানবিক। তিনি মহানগরী অফিসে যৌথবাহিনীর অনাকাঙ্খিতভাবে তল্লাসী ও কর্মচারীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
মাওলানা খান বলেন, ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষে জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। জনশ্রোত এখন রাজধানী ঢাকামুখী। সরকারের কোন ষড়যন্ত্রই জনগণের এই উত্তাল তরঙ্গ কোন ভাবেই রোধ করতে পারবে না বরং জনগণের তোপের মুখে সরকারকে ক্ষমতা থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হবে। তিনি জুলুম-নির্যাতন, হত্যা-সন্ত্রাস সরকারের রক্তচক্ষু ও সকল বাধা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে আগামী ২৯ ডিসেম্বর রোববার ঢাকা অভিমুখী ‘ মার্চ ফর ডেমোক্রেসী ‘ কর্মসূচীকে দলমত, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র; ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কর্মজীবী, সাংবাদিক, শ্রমিক, মজুর, সুশীল সমাজ, উলামা ও পীর মাশায়েখসহ সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষকে সকাল ১০.০০ টার মধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়ে ঘোষিত কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহবান জানান। জনতার কর্মসূচীতে সরকার বাধা দিলে সারা দেশে যে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে তা থেকে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন