ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরাই বাংলাদেশকে ধ্বংস করছেঃ একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন

এই মুহূর্তে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সার্কভুক্ত ৬টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি নাগরিক বসবাস করছে বাংলাদেশে। এদের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড জালিয়াতি করে ১২ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক এদেশে অবস্থান করছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এই ভারতীয় নাগরিকরা গুপ্তঘাতকের ভূমিকা রাখছে বলে গোয়েন্দারা জোর সন্দেহ করছেন। অথচ সরকারের কাছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী সার্কভুক্ত ৬টি দেশের মোট ১৪ লক্ষাধিক নাগরিকের মধ্যে মাত্র ১ লাখ ১৫ হাজার ৩শ ৬৬ জনের হিসাব আছে। সরকারি হিসাবের বাইরে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকরা বিশষত ভারতীয়রা জড়িয়ে আছে নানান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের মধ্য ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের লোকবলও বেশি। সকল বৈধ ও অবৈধ ভারতিয়ের সাথেই ভারতীয় দুতাবাস যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশ মোতাবেক পরিচালিত হয় এজেন্ডা ভিত্তিক। বৈধ এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগকিরদের কেউ কেউ ইপিজেডের সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ও এনজিওতেও কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক গার্মেন্টেস মালিক এখন ভারতীয় নাগরিক। আর তাদের মালিকানায় রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক ফ্ল্যাটবাড়ি। ভারতীয়রা বিভিন্নভাবে আয় করে উপার্জিত টাকার অধিকাংশই অবৈধ পথে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। ফলে একদিকে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। PLACE YOUR AD HERE PLACE YOUR AD HERE গোয়েন্দাদের সূত্র জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থানরত গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত অবৈধভাবে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ এবং ওয়ার্ক পারমিট বলে কিছু নেই। এদের মধ্যে বাংলাদেশ-বিদ্বেষ খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ কারণে পোশাক শিল্পের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নানান সময়ে ঘটে যাওয়া নাশকতায় এদের যে হাত রয়েছে তা প্রতিটি দেশী বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার গোপন রিপোর্টে তথ্য-প্রমাণসহ রয়েছে। শেখ হাসিনার বৈধ ও অবৈধ দুই সরকারের আমলে ভারতীয়দের প্রতি নমনীয়তার কারণে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া যাচ্ছে না । প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী- দেশে অবৈধ এই ভারতীয়দের সংখ্যা ১২ লাখেরও ঊর্ধ্বে। দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী এই সকল ভারতীয়সহ বিদেশীদের বিরুদ্ধে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস, প্রশাসনে ষড়যন্ত্র, ভয়ঙ্কর নাশকতা, এমনকি দেশের স্বাধীনতা বিপন্নকারী মোনাফেক সম্প্রদায় তৈরিরঅভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ আছে, ভারতীয়দের অনেকেই বাংলাদেশী জাল পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ডও ব্যবহার করছে। আবার কেউ কেউ মিথ্যা পরিচয়ে বাংলাদেশের ভোটারও হয়েছে। এসব ভারতীয় নাগরিকদের অনেকেই রাজনৈতিক সহিংসতায়ও ভূমিকা রাখছে। এদের অনেকেই রাজনীতির আড়ালে-আবডালে থেকে নানান সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরে মাদকের যে বিস্তার ঘটছে তাও এদের দ্বারাই তৈরি। এই সকল ভারতীয়রাই সমাজে অনৈতিকতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দিচ্ছে আর ভুমিকা রাখছে মরালবিহীন নাস্তিক প্রজন্ম গড়তে। ভারত বার বার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের কথা বললেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে, বাংলাদেশীদের চেয়ে ভারতীয়রাই সব থেকে বেশি সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) কোনো ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে দেখা মাত্র গুলি ছুঁড়ে না বিধায় কখনোই বাংলাদেশের কেউ জানতে পারে না যে, কতজন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ঢুকেছিলো কিংবা অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের সংখ্যা ঠিক কতো হতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-এর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কিংবা নির্যাতনের শিকার হয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা কখনো মৃত্যুবরণ করে না বিধায় দেশী ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গুলোতে কখনোই ফলাও করে সীমান্তে ভারতীয় হত্যার খবর বের হয় না। যে কারণে আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধ ভারতীয় অনুপ্রবেশের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন