16 Jan, 2014 ‘রাখিব নিরাপদ; দেখাব আলোর পথ।’ এই স্লোগানে কারাগারের পথচলা হলেও বাস্তবতায় পুরোটাই ভিন্ন। লাল দেয়ালের সুউচ্চ ঘেরাটোপ আর ‘লোক দেখানো’ নিরাপত্তার অভ্যন্তরে বিভিন্ন কায়দায় চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার। যার ফাঁদে আটকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু এবং অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্ব হারাচ্ছে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা। কারা কর্তৃপক্ষ ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে চলছে এসব অবৈধ বাণিজ্য। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অনুসন্ধান করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। কারাগারের অভ্যন্তরে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ জীবন ধ্বংসকারী সব ধরনের মাদক। নেশাজাতীয় এসব দ্রব্য টাকার বিনিময়ে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এমনকি কারাগারের নতুন ভবনের কলপাড়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে হাট বসিয়ে বিক্রি চলছে ইয়াবা-গাঁজা। অথচ, কোনো ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্য কারাগারে ঢোকানো জঘন্য ফৌজদারি অপরাধ। কারা বিধির ৪২ ধারায় বলা হয়েছে— ‘কোনো কয়েদি কিংবা কারাগারের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষিদ্ধ দ্রব্য (মাদক) কারাগারের ভিতর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ভিতরে নিলে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুইশ টাকা জরিমানা হবে।’ কারাগারে মাদক ব্যবসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বর্তমানকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করা প্রয়োজন। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে কারা-মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে দায়ীদের চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্তসহ মাদক আইনে মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’ অন্যদিকে বিশিষ্ট আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বর্তমানকে বলেন, ‘কারাগারে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া উচিত্। ইরানের মতো প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের ফাঁসি দিলেই কারা অভ্যন্তরে মাদক ব্যবসা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।’ মাদকের রমরমা ব্যবসা ছাড়াও কারাগারে সিট ভাড়া, দর্শনার্থী সাক্ষাত্, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, নগদ অর্থ জমা রাখা নিয়ে কমিশন বাণিজ্যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অসাধু কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কারাগারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী কয়েদিদের পকেটে ঢুকছে প্রতিমাসে অন্তত ১০ কোটি টাকা। যা থেকে ভাগ পাচ্ছেন দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) গোলাম হায়দার বর্তমানকে বলেন, ‘কারাগারের মাদকের ব্যবসার তথ্য আমি আগে জানতাম না। তবে, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। ঘটনা সত্য হলে কেউ ছাড় পাবে না।’ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, ‘আমি এখনই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি’। অন্যদিকে জেল সুপার ফরমান আলী দৈনিক বর্তমানকে বলেন, ‘মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসার খবর আমি জানি না। তবে, যেসব কয়েদি মাদকসহ ধরা পড়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, কারাগারের নতুন দালানের সামনে কলপাড়ে প্রতিদিন ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের হাট শুরু হয় দুপুর ২টার পর। প্রকাশ্যেই চলে এ ব্যবসা। এছাড়া সেলে সেলে বিক্রি হয় হেরোইনসহ অন্যান্য মাদক। প্রতিদিন বেচাকেনা হয় অন্তত ৫০ লাখ টাকা। প্রায় সাড়ে আট হাজার কয়েদির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মাদকের নিয়মিত ক্রেতা। ঢাকার আদালত পাড়ায় মামলার হাজিরা দিতে আসা কয়েদি মাসুদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মাদক মামলার আসামি হয়ে গত তিন বছর ঢাকা কারাগারে অবস্থান তার। মাসুদ জানায়, ‘ইয়াবার সেল নামে পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফের সেল। জোসেফের সেলটি শাপলা চত্বরে। তিনিই কারাগারের সব থেকে বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার পুঁজি বড়; লোকজনও বেশি। জোসেফের ঘনিষ্ঠ রিয়াজ ও পিয়াল মাদকের এজেন্ট। তাদের থেকে খুচরা বিক্রেতারা সাধারণ মাদকাসক্ত কয়েদিদের কাছে মাদক বিক্রি করছেন।’ হাজারীবাগের শাহীন। হত্যা মামলার আসামি। তিনি জানালেন, ‘কারাগারে নতুন বিল্ডিংয়ের দোতলায়ও প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয়। বাথরুমে আসা-যাওয়ার নামে নিরাপদে মাদক কিনতে পারে মাদকসেবীরা। এখানকার কেনাবেচায় জড়িত শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমানের ঘনিষ্ঠরা। তারাই ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন বিক্রি করে আসছে।’ কয়েদি ইমরান। মাদক মামলার আসামি। যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তিন মাস আগে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে। তিনি জানান, ‘ছোট্ট এক পুরিয়া। তাতে রয়েছে সামান্য একটু গাঁজা। এর দাম তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা। এছাড়া হেরোইনের পুরিয়া ২ হাজার টাকার নিচে মিলে না। ইয়াবার প্রতিপিস ৫শ থেকে এক হাজার টাকা। কয়েদি মাসুদ, শাহিন, ইমরান, রাজ্জাক, আলিমসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, কারাগারে মাদক বেচাকেনা স্যারদের নির্দেশেই চলে। তারাই সবকিছুর গডফাদার। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাদের গায়ে টপ টেররের (টিটি) সিল লাগাইয়া দিয়েছে তারা কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। টিটিরা কাউকে ভয় পায় না। কারাগারের অঘোষিত ‘সম্রাট’ তারা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, কিলার আব্বাস, পিচ্চি হেলাল, টিটন, লম্বু সেলিম, হাবিবুর রহমান তাজ, শাহাদত ও ইমনের প্রভাব তুলনামূলক বেশি। এদের মধ্যে কেউ কেউ এখন অন্যান্য কারাগারেও। এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসা করছেন অসংখ্য কয়েদি। কারাগারের ভিতরের ব্যবসায়ীদের বাইরে থেকে সরবরাহ করছে সুবেদার ফজলুল হক, সুবেদার মুক্তার হোসেন, কারাগারে চিফ রাইটার নুরুজ্জামান চৌধুরী মেশকাত চৌধুরীসহ অধিকাংশ কারারক্ষী ও জমাদাররা। যারা মাদক বহন করে ও নেতৃত্ব দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ, আরমান, লম্বু সেলিম, শাহাদতসহ কয়েদিদের কাছে পাঠাচ্ছে। এরপর তা মনিহার, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ৯০ সেল, ২৭ সেলসহ বিভিন্ন সেলে পৌঁছায়। মাদক নিয়ে ধরা পড়লেও শাস্তি হয় না: কারাবন্দিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দশ নম্বর সেলে ১৫ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়েন বন্দি সাভারের কাউন্সিলর সম্রাট। জেলসুপার ফরমান আলী বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এর আগেও মাদক বহন ও সেবনের দায়ে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কয়েদি ধরা পড়লেও এ যাবত্ কারা আইনে উল্লেখিত শাস্তি কারো বিরুদ্ধেই নেয়া হয়নি। বরং ধরা পড়ার পর টাকা দিয়ে ছাড়া মিলেছে অভিযুক্তদের। বিগত কয়েক বছরে প্রকাশ্যে মাদক বহনের দায়ে অন্তত ২০ কারারক্ষী মাদকসহ গ্রেফতার হয়। যাদের সবাই জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও পূর্ব পেশায় ফিরে এসেছেন। ২০১১ সালের ১৫ জুন কারারক্ষী নাদিরা আক্তার আলো সাড়ে নয় হাজার পিস ইয়াবাসহ সরকারি বাসা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে সবুজবাগ থানায় মামলাও হয়। কিন্তু প্রভাবশালী কারা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ৪ দিনের মাথায় সেই মামলায় জামিন পান আলো। সেই আলো বর্তমানে শরীয়তপুর কারাগারে কারারক্ষীর দায়িত্ব পালন করছেন। সিট বাণিজ্য: দুই হাজার সাতশ বন্দি ধারণ ক্ষমতার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। এজন্য গাদাগাদি নয়; রীতিমতো ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয় কয়েদিদের। এজন্য এক হাত পরিমাণ জায়গার দাম গুনতে হয় মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। যারা একটু ঘুমাতে চান তাদের এ জায়গা কিনতেই হয়। আর এক্ষেত্রে টাকা আছে যাদের; তারাই এ সুযোগ নেন। আদালতপাড়ায় কথা হয় কয়েদি মোস্তাকের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি থাকা কারাগারে অবস্থান করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পুরো কারাগারটাকে কারা কর্মকর্তারা বিক্রি করে দিয়েছে। এখানে টাকা থাকলে সব মিলে; আর টাকা ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। কারাগারে সাধারণ কয়েদিদের দেখার কেউ নেয়। ঘুমানোর জায়গা বিক্রি হয় প্রতিনিয়তই। আবার টাকা না দিলে চলে অমানবিক নির্যাতন। কারাগারের জমাদার মেশকাত চৌধুরী এসব ঘটনার রাজা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাজাপ্রাপ্ত একাধিক কয়েদি জানান, দশ নম্বর সেলে থাকেন হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ। তিনি প্রথম শ্রেণীর কারাবন্দি না হয়েও ভিআইপি রুমে থাকছেন। রুমে চেয়ার-টেবিল-খাট সবই আছে। সিগারেটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভোগপণ্যের অভাব নেই তার রুমে। তবে, বিনিময়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রতি মাসে দিতে হয় দশ লাখ টাকা। মোবাইলে প্রতি মিনিট ২০ টাকা: মোবাইল ফোনে কথা বলতে সাধারণ কয়েদিদের প্রতি মিনিটের জন্য গুনতে হয় ২০ টাকা। ভিতরে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিনিময়ে কমিশন দিতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। এছাড়া কারাগারের ভিতর থেকে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আন্ডারওয়ার্ল্ডের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। নিম্নমানের খাবার: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ন্যায্য খাবার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মেঘনা, যমুনা, পদ্মা, ৯০ সেল, ২৭ সেলসহ বিভিন্ন সেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসা বন্দিরা জানান, সকালে পুরনো আটার আধাপোড়া একটি রুটি ও চা চামচের আধা চামচ গুড় জুটে বন্দির ভাগ্যে। দুপুরে নিম্নমানের গন্ধযুক্ত চালের ভাত, সামান্য আলুভর্তা ও বুড়ো লাউয়ের ঝোল। রাতে ভাতের সঙ্গে সামান্য ডাল ও ভাজি জোটে বন্দিদের ভাগ্যে। কালেভদ্রে মাছ-মাংসের টুকরো জোটে। রান্নায় লবণ পর্যন্ত ঠিকমত দেয়া হয় না। অথচ, নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিনই মাছ-মাংস থাকার কথা বন্দিদের খাবার মেন্যুতে। হাজারে ২০০ টাকা কমিশন: জেল কোড অনুযায়ী বন্দিদের কাছে নগদ টাকা জমা রাখা নিষিদ্ধ। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের বাণিজ্যের কারণে কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদিরা নিজেদের কাছে টাকা রাখার সুযোগ পায়। তবে, এজন্য গুনতে হয় প্রতি হাজারে ২০০ টাকার কমিশন। জানা যায়, দর্শনার্থীদের সঙ্গে বন্দিদের সাক্ষাতের প্রবেশ রুমে (নিচতলায়) দায়িত্বরত কারা পুলিশের মাধ্যমে ভিতরে বন্দিদের কাছে টাকা পাঠানো হয়। বন্দিদের কাছে টাকা পৌঁছানোর কাজ করছে নুরু নামের বয়স্ক ও দাঁড়িওয়ালা কয়েদি। জমাদার মোশারফ, রশিদ, মোসলেম, সাইফুল ইসলাম, অহিদ, তাহের, দেলোয়ারসহ অনেকে। বন্দিদের নির্যাতন : ‘কেস টেবিল’ ও ‘বেক ফাইল’ নামে কারা অভ্যন্তরে রয়েছে শাস্তির কেন্দ্র। এখানে বন্দিদের নানা অজুহাতে পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়। যার পরিসমাপ্তি ঘটে টাকার বিনিময়ে। চাঁদার ভাগ যাদের পকেটে: কেন্দ্রীয় কারাগারে অবৈধ বাণিজ্যের ভাগ যায় কিছু কারা কর্তৃপক্ষ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কারাগারের জেলার মাহবুবুর রহমান বর্তমানকে বলেন, কারা অভ্যন্তরে কোনো ধরনের মাদক ব্যবসা হয় না। চাঁদা প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি নিশ্চুপ থেকে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইফতেখারুল ইসলাম খান (কারা ও অগ্নি) বর্তমানকে বলেন, ‘মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমরা পাই। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে কয়েকজনের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নতুন করে অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সার্বিক বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বর্তমানকে বলেন, ‘কারাগারে মাদক ব্যবসা চলে— বিষয়টি ভাবা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত্, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজ কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া। এটা অবিলম্বে করতে হবে এবং শাস্তি দিতেই হবে।’
উৎসঃ বর্তমান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন