ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

সিতাকুন্ডে শিবির নেতা মোশাররফ হোসেনকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সরকার শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কিলিং মিশন চালাচ্ছে---ছাত্রশিবির

১৯.১.১৪ গত ১৭ ডিসেম্বর র‌্যাব ও পুলিশের সাদা পোষাকধারীদের দ্বারা আটককৃত শিবির নেতা মোশাররফ হোসেনকে আজ হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল জব্বার বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে মুকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ছাত্রশিবির দমনে অতীতের জালিম শাসকদের মতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হত্যা, নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের নির্দেশে টার্গেট করে যৌথবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব পরিকল্পিতভাবে শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কিলিং মিশন চালাচ্ছে। চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডে   শিবির নেতা মোশাররফ হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই যে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। গত ১৭ ডিসেম্বর মোশাররফকে র‌্যাব ও পুলিশের সাদা পোষাকধারী সদস্যরা মীরেরসরাইয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করে। এলাকাবাসী এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। কিন্তু আটকের পর স্বীকার না করে আজ মোশাররফকে গুলি করে হত্যা করে তার বাড়ীর পাশে ফেলে রেখে যায়। একইভাবে আটক করে নিয়ে গিয়ে গতকাল সাতক্ষীরায় আবু হানিফ ছোটনকে যৌথবাহিনী হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। তিনি বলেন, শিবির নেতাকর্মীদের এভাবে হত্যা করে সরকার কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে। সরকারে থেকে বিচার বহির্ভূত গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়ে সরকার প্রমান করেছে তাদের কোন মেরুদন্ড নেই। অবৈধ এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতেই মানবাধিকারের চূড়ান্ত লংঘন করে শিবির নেতাকর্মীদের খুন করে চলছে। এভাবে নেতাকর্মীদের হত্যার পরিণতি সরকারের জন্য ভালো হবে না। আমরা পরিস্কার বলছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যরা এসব হত্যাকান্ডে জড়িত, কারা এভাবে ছাত্রজনতাকে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে, সবই জনগণের জানা আছে। গুপ্তহত্যা করে নিজের অপরাধ ঢাকার সুযোগ কেউ পাবে না। যে হত্যার রাজনীতি আওয়ামীলীগ শুরু করেছে, বাংলাদেশের মাটিতে ছাত্রজনতা সেই অপরাজনীতির কবর রচনা করবেই। তিনি আরো বলেন, এভাবে ধারাবাহিকভাবে ছাত্র হত্যার পরও মানবাধিকার কমিশন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে চুপ থাকতে দেখে দেশবাসী বিস্মিত। আমরা তাদেরসহ দেশের সচেতন সব মহলের সোচ্চার ভূমিকা আশা করছি। অন্যথায় এই স্বৈচরাচার যে সামনের দিনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে দেবে, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। তখন তাদের হাত থেকে কেউ রক্ষা পাবেনা। আজ ছাত্রশিবির নির্যাতিত বলে চুপ করে থাকলে কাল সরকার কারোর তরফ থেকে সামান্য প্রতিবাদের আভাস পেলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গুপ্ত হত্যা চালাবে। কাজেই এই সরকারকে এখনই ক্ষমতাচ্যুত করে গণহত্যার জন্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। শিবির সেক্রেটারী জেনারেল অবিলম্বে মোশাররফ হত্যার সাথে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে ও বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন