চট্টগ্রাম: মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর প্রথমবারের মত চট্টগ্রামে এসে দু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর প্রথম অনুষ্ঠান ছিল সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভা। সেই সভাতেই পরিকল্পিত ভাবেই নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দীন চৌধুরীকে গনধোলায়ের চেষ্টা করে আফসারুল আমিন গ্রুপ।এতে মঞ্চেই সংঘর্ষ ছডিয়ে পড়ে। মহিউদ্দীন চৌধুরীর উপর আক্রমন করতে গেলে বাধাদেয় মহিউদ্দীন চৌধুরীর পাশ্বে বসা ইঞ্জিনিয়র মোশারফ।এতে সংঘর্ষ পুরো সার্কিট হাউজ এলাকা ছডিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নগর আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মোশাররফ ও জাবেদ সাড়ে ৮টার দিকে সার্কিট হাউস ত্যাগ করেন। মহিউদ্দিন বেরিয়ে গাড়িতে উঠার সময় পদবঞ্চিতরা শ্লোগান দিয়ে তার গাড়ি ঘিরে ধরেন। এসময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাদের ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন। তিনি আবার গাড়িতে উঠে সার্কিট হাউস থেকে রওনা দেয়ার সাথে সাথেই বাইরে ছাত্রলীগের পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা হুড়মুড়িয়ে সার্কিট হাউসের ভেতরে ঢুকে পড়েন।উভয়পক্ষে শুরু হয় সংঘর্ষ।
দা, কিরিচ নিয়ে একদল আরেকদলের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ৪-৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানালেও ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন বাগমনিরাম ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো.আতিক। তার বাসা নগরীর শহীদনগর এলাকায়। তিনি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিনের অনুসারী এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের ওয়াসিম উদ্দিনের গ্রুপের নেতা বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছে।এদিকে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ সার্কিট হাউসের ভেতরে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় দু টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন এবং একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেন। এসময় সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষের ভেতরে বেশ কয়েকটি চেয়ারও তারা ভাংচুর করে। সংঘর্ষের সময় আতংকে অনেকেই সার্কিট হাউসের বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন কক্ষের দেয়ালে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখা গেছে। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ছাত্রলীগের বিবদমান নেতাকর্মীরা সার্কিট হাউস ছেড়ে চলে যান। পরে পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন