ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীর সহায়তা! : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্বীকার!

 স্টাফ রিপোর্টার : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সাতক্ষীরার গণআন্দোলন দমাতে সরকার ভারতীয় বাহিনীকে অপারেশনে নামিয়েছিল। এ অপারেশন পরিচালিত হয়েছিল যৌথবাহিনীর সহায়তায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লির কাছে এ সেনা সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয়। এরই আলোকে গত ৫ জানুয়ারির। নির্বাচনের আগে থেকে সাতক্ষীরায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালিত হয়। সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলায় পরিচালিত এ অভিযানে স্থানীয় জনগণের উপর ব্যাপক জুলুম নির্যাতন চালানো হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে। এ সংবাদকে কেন্দ্র করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন মিডিয়াতে ব্যাপক ঝড় উঠে। এদিকে এ ধরনের অভিযানকে নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের উপর বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে একে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করে অনতিবিলম্বে সরকারকে এ ব্যাপারে তার অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টির সত্যতা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত বলেও তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। তারা এ ধরনের সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। এধরনের খবর গতকাল প্রথম প্রকাশ করেছে বিডি টুমারো ডট অর্গ নামে একটি নিউজ ওয়েবসাইট। নিউজ ওয়েবসাইটটির http://www.bdtomorrow.o/rg/newsdetail/detail/200/62458 লিংকের খবরে বেশ কিছু গোপন বার্তা এবং এসব কার্যকলাপে যারা জড়িত তাদের জানতে বিভিন্ন লিংক ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর গতকাল রাতে আমাদের সময় ডট কমেও http:// www.amader-somoy.com/content/ 2014/01/15/middle0056.htm লিংকে খবরটি পূর্বোক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশ করে। এছাড়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি শেয়ার হতে থাকে। প্রকাশিত সংবাদটির সাথে চার পৃষ্ঠার ফ্যাক্স বার্তার ছবিও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে: জেনারেল মাহবুবুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা উচিত। এটির সত্যতা ডাউটফুল। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনী সাতক্ষীরার মতো একটি ছোট এলাকা কেন, দেশের যে কোন আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া আমাদের সেনাবাহিনীতো রয়েছেই। তারা যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী এবং মানসম্পন্ন। দেশের যে কোন অঞ্চলে লোকান সিচুয়েশনে যে কোন অপারেশন চালানোর জন্য তারা এনাফ। সরকারকেও এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। এ ধরনের সংবাদের বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিশ্লেষক এ.এইচ মোফাজ্জল করিমের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, এ ধরনের বিষয় কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রকাশ করে থাকতে পারে। তাই সবার আগে ভালো করে ভেরিফাই করা দরকার। আর আজকাল প্রযুক্তি এবং ফেসবুকের কল্যাণে এ ধরনের অনেক কিছু করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে ভারতের সেনাবাহিনী আমাদের দেশে কোন অভিযানে অংশ নেবার বিষয়ে কোন চুক্তি নেই। এ অবস্থায় যদি এরকম কিছু ঘটেই থাকে তবে এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েই হস্তক্ষেপ নয়, এটি হবে সামরিক হস্তক্ষেপ। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উপরোক্ত সংবাদের ফ্যাক্স বার্তাগুলোর বিষয়ে ইনকিলাবের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর (মিডিয়া) নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ-এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখনো এ ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি তৌফিক ইসলাম শাতিল-এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ধরনের বিষয় পুরোটাকেই মিথ্যা বলে অবিহিত করেন। তিনি বলেন, আমিও কয়েক জনের কাছে খবরটি শুনে খতিয়ে দেখেছি। তবে এগুলো সবই ভিত্তিহীন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের সিল ও ফাইল নম্বর ব্যবহার করে না। চিঠির ধরনের সাথেও কোন মিল নেই। বিডি টুমারো ডট অর্গ নামে নিউজ ওয়েব সাইটটির খবরে ‘সাতক্ষীরা অপারেশনে ভারতীয় বাহিনী ফাঁস হওয়া প্রমাণাদি নিয়ে তোলপাড়’ শিরোণামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর নামে ভারতীয় বাহিনী অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, এমন কিছু প্রমাণ ফাঁস হওয়ার পর ইন্টারনেট জগতে চলছে তোলপাড়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে ফাঁস হওয়া গোপন বার্তায় বেরিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসের অনুরোধে সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাজনৈতিক দমন- পীড়নে ও গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী ও বিএসএফ। চলমান রাজনৈতিক সংকটে ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই বার্তায় দেখা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন- পীড়ন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩৩তম কোরের ১৭তম, ২০তম ও ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশান এবং বিএসএফ। দলিলগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৩ নভেম্বরের ৭ তারিখে ইস্যু করা চিঠি পাঠিয়েছেন তৌফিক ইসলাম শাতিল। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখা যায় তিনি ২০১২ আগস্টে জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ কনসাল ছিলেন। জর্ডানে ২৫ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিক অপহরণ, ধর্ষণ, গুম ও হত্যা প্রসঙ্গে তিনি পত্র- পত্রিকার সাথে কথা বলেছিলেন। এছাড়াও জর্ডানে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ যখন বাংলাদেশি দূতাবাসে কর্মরত এক জর্ডানী মেয়েকে যৌন হয়রানি করে, তখন শাতিল ছিলেন ফাস্ট সেক্রেটারি এবং তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। চিঠির আরেকজন হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি ৬-৯-১১ তারিখে সামরিক বাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। ভারতে তার অফিসের ফোন নম্বর ও ইমেইল ঠিকানাও দেয়া আছে। ঐ অফিসে তার সহকারীর নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফখরুল আহসান। ঢাকায় ভারতীয় পক্ষের যোগাযোগকারী ছিলেন সুজিত ঘোষ। তিনি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের রাজনৈতিক সচিব। ‘র’ এর বড় মাপের অপারেটিভ, অনেকে মনে করেন বাংলাদেশ স্টেশন চিফ। চিঠির চরিত্রগুলোর মাঝে সবচাইতে বড় চরিত্র হলেন শহীদুল হক। একটা চিঠির প্রাপক। বাংলাদেশের ফরেন সেক্রেটারি। বায়োডাটা অনুযায়ী লন্ডন, ব্যাংকক, জেনেভায় কাজ করেছেন। যোগাযোগের আরেকজন হলেন হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদ। সবচেয়ে জুনিয়র এই ঘটনায়, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি। এডমিন ক্যাডারে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জয়েন করেছিলেন, পরে পররাষ্ট্রে আসেন। সউদী আরবে ছিলেন ছয় মাস। রেডিও আমার-এর আরজে হিসেবেও কাজ করেছিল। ঢাবি থেকে ২০১০-এ ফার্মেসিতে পাস করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন