বেশ কিছুদিন আগে আমাদের পাশের মহল্লায় একটি মসজিদে প্রায় প্রতিদিন ই জুতা চুরি হতো। এতে করে অনেক মুসল্লিই ইমাম সাহেবের কাছে অভিযোগ করতো।
একদিন ইমাম সাহেব কিছু মুসল্লিদের নিয়ে বসলেন এবং পরামর্শ করতে লাগলেন কিভাবে চোর শনাক্ত করা যায়। এক পর্যায়ে একজন মুসল্লি পরামর্শ দিলো মসজিদের যে পাশে জুতা রাখা হয় সে পাশে সিসি ক্যমেরা বসানোর জন্য। তাই একদিন জোহর নামাজের পুর্বে ঠিক জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হলো এবং দোকান থেকে কিছু নতুন জুতা দরজার সামনে রাখা হলো। টার্গেট জুতা চোর ধরা। ৪ জন লোক একপাশে ইমাম সাহেবের রুমে বসে সিসি ক্যমেরা পর্যবেক্ষন করছিলো আর বাকি মুসুল্লিরা নামাজে দিড়িয়ে গেলেন। একপর্যায়ে সত্যি সত্যি চোর এসে জুতা গুলি তার হাতের ব্যগের ভিতর ঢুকিয়ে চলে যাচ্ছে। এমন সময় ভিতর থেকে ৪ জন লোক বেরিয়ে এসে অই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেললো। পরে নামাজ শেষে তাকে বিচারের জন্য আনা হলো। তাকে নাম জিজ্ঞেশ করলে সে বললো তার নাম, সঞ্জয় দাস। সে আরো বললো যে অর্থনৈতিক সমস্যার কারনেই সে এই পথ বেচে নিয়েছে। এরপর তাকে বুজিয়ে শুনিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো।
এখন চিন্তা করে দেখুন মুলত এইসব কাজে কারা জড়িতো।
যারা সত্যিকার অর্থে নামাজ পড়তে যায় তারা নামাজে দাঁড়িয়ে গেলে জুতা দুরের কথা কোটি টাকার সম্পদের কথাও ভুলে যায় যার সুভাদে কতিপয় হিন্দু এবং এটিএম শামসুজ্জামানের মতো মুসলিম নামধারি কুলাঙ্গাররাই এইসব জুতা চুরির কাজে ব্যস্ত থাকে।
বিঃদ্রঃ উপরে উল্লেখিত ঘটনা যদি কারো অবিশ্বাস হয়ে থেকে তাহলে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ের ছাত্তার প্লাজা মসজিদে এসে এর সত্যতা যাচাই করে যেতে পারেন। By Md Sahadat
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন