ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ আমাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলে নিয়ে যান

ভাই দোকান খুললেই দুহাজার টাকা দিতে হয় ভাই ব্যাবসা যা করছি সবইতো ওরা নিয়ে যায়, ব্যবসা হউক আর না হউক দোকান খুললেই চাঁদ দিতে হয় দুই হাজার টাকা। কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফুটপাতের দোকানদাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ আমাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলে নিয়ে যান। না দিলে দোকান ভাঙচুর করে। টাকা দিতে পারি না বলেই গত কয়েকদিন ধরে দোকান খুলতে পারছি না। দোকান খুললেই হেদায়েত মামা এসে দুই হাজার টাকা চায়। চাঁদা দিতে না পারলে আমাদের মারধোর করে। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে সরেজমমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দোকান বন্ধ করে সামনে বসে আছে এক দোকানদার। এই প্রতিবেদকের কাছে তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টাকা দিতে পারিনি বলেই আমরা দুই তিন ধরে দোকান খুলতে পারছিনা। দোকান খোলা দেখলেই তার লোকজন শহীদুল্লাহ হলে গিয়ে হেদায়েত মামাকে খবর দেয়। তিনি এসে আমাদের কাছে প্রতিমাসে দুই হাজার করে টাকা চায়। বর্তমানে ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। তাই ওনার চাহিদামত টাকা দিতে পারছিনা। একারনে তিনি আমাদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশেই অপর এক দোকানী দু:খ প্রকাশ করে বলেন, ভাই পুলিশকেও চাঁদা দিতে হয়। দিতে না পারলে দোকান খুলতে পারিনা, মার খেতে হয়। দোকান না খুলেও পারছি না, খাবো কি তাই বসে আছি যদি সুযোগ হয়। ভাই আমাদের গরীব মানুষের সাথে কেউ নেই। আমাদের কথা কেউ বলে না ! ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, হেদায়েত উল্লাহ ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলে না। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। জানতে চাইলে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে হেদায়েত উল্লাহ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যদি চাঁদাবাজি করতাম তাহলে পায়ে হেটে মতিঝিলে রুপালি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ভাইবা পরীক্ষা দিতে যেতাম না। আমার বিরুদ্ধে কেউ চক্রান্ত করছে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীরা মামলা দেয় না কেন? ছাত্রলীগের নেতাই হোকা আর যেই হোক অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ধরনের ঘটনা আমি প্রথম আপনার কাছেই শুনলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন