ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

ফ্যাক্স বার্তা ফাঁস! সাতক্ষীরা অভিযানে ভারতীয় বাহিনী! কে এই ব্রিগে. জেনারেল শামস ?

ফ্যাক্স বার্তা ফাঁস! সাতক্ষীরা অভিযানে ভারতীয় বাহিনী! কে এই ব্রিগে. জেনারেল শামস ? সাতক্ষীরায় বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানে ভারতীয় বাহিনী ব্যবহার করেছিল শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে যশোরের জিওসির সম্মতি ছিল বলে জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভারত সরকারের কাছে পাঠানো ফ্যাক্স বার্তায় সাতক্ষীরায় সন্ত্রাস দমনে ভারতীয় ফোর্স পাঠানোর অনুরোধ জানায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে গত ৬ নভেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঢাকা থেকে দিল্লীতে পাঠানো ঐ মূল ফ্যাক্স বার্তার সাবজেক্ট ছিল: Military Aid From India and Deployment at Satkhira. মূল ডকুমেন্টগুলি আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। এরকম একটি ফ্যাক্স বার্তা দিল্লীস্থ বাংলাদেশ দুতাবাস পাঠানো হয়। ভারতীয় দূতাবাসের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল এন্ড ইনফরমেশন) সুজিত ঘোয়ের বরাবর লিখিত পত্রটি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নূর মোঃ নূর ইসলাম পিএসসি জি এর নিকট পাঠানো হয়। যেসব এলাকায় ভারতীয় বাহিনী প্রয়োজন হবে, তা হলো: ১. শ্যামনগর উপজেলা, ২. দেবহাটা উপজেলা, ৩. আশাশুনি উপজেলা, ৪. কলারোয়া উপজেলা, ৫. সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পশ্চিম বঙ্গের ৩৩ কোরের ১৭, ২০, ২৭ মাউন্টেন ডিভিশনের র‍্যাপিড, আর্মার, আর্টিলারী, ও সিগনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ই্‌উনিটগুলি গজলডাঙ্গা বিএসএফ পোষ্ট হতে ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে। বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর নির্দেশের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। ভারতীয় বাহিনী দেশের ভেতরে ঢুকে হত্যা করে বাংলাদেশের নাগরিক, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় বাড়িঘর। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে একটি গোপন প্রতিরক্ষা চুক্তি করে, যার অধীনে ভারতীয় বাহিনী যে কোনো সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করার অধিকার লাভ করে। এদিকে সাতক্ষীরা অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর সাথে অপারেশন সমন্বয় করেন, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমান (বিএ-২৭৩৭)। নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারেক সিদ্দিকী’র সাথে সম্পৃক্ত এই ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মাত্র দেড় বছরে ২ টি পদোন্নতি পাওয়া এই অফিসার বিডিআর ম্যাসাকারের পরেই বিডিআরে বদলী হন। ১৭ জুলাই ১৯৬৪ সালে জন্ম নেয়া ১১ বিএমএ লং কোর্সের ইঞ্জিনিয়ারিং এ ফেল করা এই অফিসারের উপর দায়িত্ব ছিল ভারতীয় সেনাদের বাংলাদেশে অপারেশনের পরে নিরাপদে বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে দেয়া। ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমানই আবার তার রিজিয়নে নির্বাচন বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চক্রান্ত বাস্তবায়নের অন্যতম নায়ক হিসেবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নামে আওয়ামী কর্মীদের সাথে প্রশাসনের সমন্বয় করেন। চাদপুরের এক আওয়ামী নেতার ভাতিজা ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমান যিনি সব সময়ই খারাপ কেরিয়ার থাকায় পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। এখন তিনি ভারতীয় ও শেখ হাসিনা উভয় সরকারের নেক নজরে রয়েছেন। এদিকে সেনাবাহিনীতে একজন মেজর জেনারেলকে পদোন্নতি দিয়ে বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মে জেনারেল হাফিজকে লে জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়। এখন ভারতীয়দের গুড বুকে থাকা সাভার এরিয়া কমান্ডার মে জেনারেল সোহরাওয়ারদি এবং ডিজিএফআই মহাপরিচালক মে জেনারেল আকবরকে অবসরে পাঠানোর চিন্তা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে। জনগণের প্রতি সহানুভূতি মুলক আলোচনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সহসাই সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিকতর বিশ্বস্তদের পদোন্নতির দেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন