ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

আতঙ্কের জনপদ এখন সাতক্ষীরা থামছে না স্বজনহারাদের কান্না

সাতক্ষীরার জনপদের সর্বত্র এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে । প্রতিদিনই আগুন জ্বলছে গ্রামের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে । সহায়-সম্বল হারিয়ে যারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে তাদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে কয়েক শত মানুষ। গৃহহীন হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। পুলিশ দেখলেই পালাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাত শুরু হলেই নতুন নতুন ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। সাতক্ষীরায় নতুন করে ৩৮টি ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুশলীয়া, গোবিন্দপুর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে। যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজন এসব তাণ্ডব চালায়। এসব ধ্বংসকাণ্ডে ৫টি হিন্দুর দোকানও পুড়ে যায়। প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়। অগ্নিসংযোগের সময় এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো সদস্যকে ঢুকতে দেয়া হয়নি । ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ১২টি বসতবাড়ি ও ২৭টি দোকানপাট লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কুশখালি, গোবিন্দপুরে ১৯টি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী গ্রামের বাহারুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, মাওলানা মিজানুর রহমান, সিদ্দিক হোসেনের বসতবাড়ি, শ্রীধরকাটি গ্রামের অধ্যক্ষ আবদুল কাদেরের বাড়ি, ফরিদপুর গ্রামের আবদুল আজিজ, আবদুস সবুর, রাজনগরের মোশারফ এবং মুকন্দকাটির আবদুল করিমের বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকার বাহারুলের দোকান, মোশারফের থালাবাটির দোকান, সাইফুলের ওষুধের ফার্মেসি, আবুল কালামের দোকান, শামসুর রহমানের মুদির দোকান, দাউদের মিষ্টির দোকান, আবদুল্লাহর দোকান, জগদীসের মিষ্টি দোকান, ময়নার ফলের দোকান, মুকুল, সালাম, হানিফ, তাপস, শহিদুল, সাখাওয়াত, মিজান, বিশ্বনাথ এবং মাহবুবের দোকানপাট লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া হোগলা গ্রামের মাহবুব ও সাইফুলের দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা কুশলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালি বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট পোড়ানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সিরাজুল ইসলামের ওষুধের দোকান, মোজামের কাপড়ের দোকান, বিল্লালের সেলুনের দোকান, হান্নানের মুদির দোকান, মনিরুলের চায়ের দোকান, বনি আদম, মাইউদ্দীনের দোকানঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ওহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদীর নির্দেশে আ.লীগের সন্ত্রাসীরা এ তাণ্ডব চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। রাতভর একইভাবে যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে গোবিন্দপুরে। আগুনে ভস্মীভূত করা হয় মিজানুর রহমান, আবদুর রাশেদ, আবদুল হাকিম, বাবু ও মহিলা লিলি বেগমের একমাত্র আশ্রয়স্থল। যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষুদ্ধ জনতা এসব ভাংচুর করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন