ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

২০ জানুয়ারী দেশের সকল মহানগরী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসমাবেশ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান


তারিখঃ ১৯-০১-২০১৪ ইং, ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত ২০ জানুয়ারী সোমবার দেশের সকল মহানগরী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসমাবেশ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১৯ জানুয়ারী নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ- 
“সরকার গায়ের জোরে মানুষের ন্যায্য ভোটাধিকার কেঁড়ে নিয়েছে। সরকারের নিকট জনগণের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেঁছে বেঁছে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে সরকার। সাতক্ষীরায় ১৮ জানুয়ারী শিবির কর্মী ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আবু হানিফকে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় শিবির কর্মী মোশারফ হোসেনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ১৮ জানুয়ারী আটক করে। আজ ১৯ জানুয়ারী তাকে গুলি করে হত্যা করার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে তেরিয়াল এলাকায় তার লাশ ফেলে রাখা হয়। তার মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ ও নাকেমুখে রক্তক্ষরনের চিহ্ন রয়েছে। 
১৮ জানুয়ারী গভীর রাত থেকে ১৯ জানুয়ারী দুপুর পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। ৩২ টি মামলায় ৬০ হাজার লোককে আসামী করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। 
আজ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আশরাফ আলী ও মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারেক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ্কে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবার ও এলাকাবাসীর আশঙ্কা সরকার যেকোন মুহূর্তে তাদেরকে হত্যা করতে পারে। আজ সিলেটে ৬৬ জন, গাইবান্ধায় ৫ জন, চট্টগ্রামে ১৭ জন, লালমনিরহাটে ৫ জন সহ সারাদেশে শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরকার দেশে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিরোধী দলের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও অব্যাহত গণহত্যার শিকার হয়ে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুম-নিপীড়ন এই মুহূর্তে বন্ধ করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 
জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত ২০ জানুয়ারী সোমবার দেশের সকল মহানগরী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসমাবেশ, শোভাযাত্রা এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য আমি দেশের আপামর জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন