ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

আন্দোলন চলবেঃ সংকট সমাধানে আবারো সংলাপ-সমঝোতার আহ্বান খালেদার



সরকারের প্রতি আবারো সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও ১৮-দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

গত ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর এটাই বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথম সংবাদ সম্মেলন। সেখান থেকে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করেছে। সারা দেশে পাঁচ শতাংশও ভোট পড়েনি। এ নির্বাচন মেনে নেয়নি জনগণ। দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
এ সময় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি করেন, ‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য। দেশবাসী অচিরেই তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।’
দেশে এখন গণতন্ত্র মৃত দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি ফের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। তাই এখন বাংলাদেশে শুরু হবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
খালেদা জিয়া দাবি করে বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। রাজধানীর ছাড়াও সারা দেশে ওইদিন কোথাও মানুষ ভোট দিতে যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গড়ে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। যদিও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে বলা হয়েছে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরই মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে তারা কেমন জালিয়াতি করেছে।

সরকারকে বিপজ্জনক আখ্যায়িত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তারা বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
এ সময় সংলাপের পরিবেশ তৈরির জন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয় খুলে দেয়া, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার আহ্বান জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

নতুন কর্মসূচি:
সংবাদ সম্মেলনে জোটের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে রয়েছে- ভোট বর্জন করায় জনগণকে অভিনন্দন জানাতে আগামী ২০ জানুয়ারি সারা দেশে শোভাযাত্রা ও গণসমাবেশ এবং ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ।
আগামী ১৮ জানুয়ারি সারা দেশে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালন।
আগামী ২৯ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ দিবস ও শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিল।
এছাড়া, পর্যায়ক্রমে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সফর করবেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮-দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আর এ গনি, ড. আবদুল মঈন খান, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, বেগম সারোয়ারী রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর প্রমুখ।
এছাড়া ১৮ দল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী, এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন