গত ২৯ দিনেও নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী রামগঞ্জ বাজার, টুপামারী ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসেনি। এখনও ওই এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদে আজান ও নামাজ আদায় হচ্ছে না। হাতে গোনা দু-একটি মসজিদে আজান ও নামাজ আদায় হলেও মুসল্লির সংখ্যা হচ্ছে ৪ থেকে ৫ জন। এলাকাবাসী জানান, পুলিশি গ্রেফতার আতঙ্কে মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী রামগঞ্জ বাজারে এখনও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। দোকানিরা এখনও ভয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছেন না। ক্রেতারাও আসছে না তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের জন্য। রামগঞ্জ বাজারটি শ্মশানে পরিণত হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। যে বাজারটি সবসময় হাজার হাজার হাটুরে ও ব্যবসায়ীর পদচারণায় মুখরিত থাকত, সেখানে এখন মানবশূন্য।
সরেজমিন টুপামারী ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে একাধিক গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এখনও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে। সাংবাদিক দেখে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার বাড়ির মহিলারা ঘর থেকে ভয়ে বের হচ্ছে না। তাদের মাঝে বিরাজ করছে গ্রেফতার আতঙ্ক। রামগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন বায়তুল ফালা জামে
মসজিদ ও বায়তুল নূর জামে মসজিদ ঘটনার পর (১৪ ডিসেম্বর) থেকে অদ্যাবধি আজান এবং নামাজ আদায় হচ্ছে না। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা পুলিশি গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ। এমনটি কি কল্পনা করা যায়? বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষের কাছে আহবান বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান। বাংলাদেশের সকলস্তের মানুষের কাছে আবেদন অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গরে তুলুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন