ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৪

ভারতীয় আউটলুক ম্যাগাজিনের নিবন্ধ : শিগগিরই রাস্তায় নেমে নেমে আসতে পারেন বিপুল সংখ্যক মানুষ

12 Jan, 2014 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী হাসিনা’ আখ্যা দিয়ে ভারতের বহুল প্রচারিত আউটলুক সাময়িকীর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, নতুন নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উচিত যত দ্রুত সম্ভব নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য হাসিনাকে পরামর্শ দেয়া। গতকাল আউটলুকের ‘ হাফ-টোন কান্ট্রি’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে এসব মন্তব্য করা হয়। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনকে অর্থহীন আখ্যা দিয়ে নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। হাসিনা যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন তাতে পশ্চিমা সমালোচনা বাড়ছেই। তারা হয়তো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে অথবা পোশাক রফতানির কোটা কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের ৫০ ভাগেরও বেশি আসে পশ্চিমা দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রফতানি করে। নিবন্ধে বলা হয়, হাসিনা যদি শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে না পারে এবং পারার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তার সরকারের ওপর চাপ বাড়তেই থাকবে। ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে বিপুল সংখ্যয় লোক রাস্তায় নেমে আসতে পারে। এমনকি জাময়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধের বিচারের গোড়া সমর্থকরাও নতুন নির্বাচনের জন্য রাস্তায় নেমে আসতে পারেন। কাজেই ভারতের উচিত যত দ্রুত সম্ভব নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য হাসিনাকে পরামর্শ দেয়া। আওয়ামী লীগের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যদের চাপ কমানো এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া বন্ধের উদ্যোগ নেয়া। নিবন্ধে বলা হয়, ৩০০ আসনের নির্বাচনে বিনা ভোটেই আওয়ামী লীগের ১৫৪ জন (প্রকৃতপক্ষে ১৫৩ জন) জিতে যায়। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিদ্রোহী প্রার্থী অথবা জোট নেতাদের সঙ্গে। ২০০১ ও ২০০৮ সালে যেখানে যথাক্রমে ৭৪.৩৭ ও ৮৫.৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে সেখানে ৫ জানুয়ারির বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশের কম। ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা ও ভোটের দিন অন্তত ২০ জন নিহত এবং অন্তত ২০০ নির্বাচনী কেন্দ্র ধ্বংস করে দেয়ার কারণে লোকজন ঘরের বাইরে বের হয়নি। এমন আশঙ্কা আগেই ছিল। এর ফলে নির্বাচনটি হয়ে পড়েছে অর্থহীন। ঢাকার একজন আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের পরিবারের ১২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৩ জন।’ তার পরিবার ঐতিহ্যগতভাবেই আওয়ামী লীগের ভোটার। তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই এবং ফলাফল আগেই জানা সেখানে কে ভোট দিতে চায়।’ নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে ভারতের ব্যাপক স্বার্থ রয়েছে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ দেশটির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের সামনে কোনো বিকল্প নেই (হবসন’স চয়েজ)। ব্যক্তিগতভাবে ভারত জানে যে নির্বাচনের ফলে ‘ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী হাসিনা’র বিশ্বাসযোগ্যতায় ক্ষয় ধরেছে। তবে যে পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে তার প্রকাশ্য সমালোচনার কোনো উপায় নেই। ভারতের আশঙ্কা, প্রকাশ্যে হাসিনার নিন্দা করলে তার নৈতিক মনোবল ভেঙে যাবে এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি ভারতের জন্য দুটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে মন্তব্য কর নিবন্ধে নয়াদিল্লিকে পরামর্শ দেয়া হয় যে, প্রথমত দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, সহিংসতা দীর্ঘস্থায়ী হলে বাংলাদেশ এবং পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের দীর্ঘ সীমান্তে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভারতকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে। নিবন্ধে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতৃত্বে অনেক দেশ নির্বাচনের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে নতুন নির্বাচন দাবি করতে শুরু করেছে। হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে এবং বাংলাদেশের রাজপথের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি বহাল রাখতে চাইছে। নিবন্ধে বলা হয়, বিরোধী দল এবং ইসলামীপন্থীদের ওপর শেখ হাসিনার দমন-পীড়ন এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে অসভ্যভাবে বিভক্ত করার কারণে দেশটি ধীরে ধীরে নৈরাজ্যকর অবস্থায় পতিত হয়েছে। ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, ‘২০১৩ সালের জুন-জুলাইয়ে মেয়র নির্বাচনে বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগ ধরাশায়ী হওয়ার পরপরই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের কথা বলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া হয়। বিশ্ব দেখেছে বিএনপির আপসহীনতা কঠোর হাতে দমন করা হয়েছে।’ নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনা এরই মধ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচনে আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এজন্য শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়কেই ছাড় দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে যেমন প্রেসিডেন্টের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি মেনে নিতে হবে তেমনি খালেদা জিয়াকে জামায়াতের সঙ্গে জোট রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। যদি উভয় নেতা শিগগিরই মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলতে না পারেন তবে বাংলাদেশের জন্য করুণ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীলতার সুযোগে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে। এটা হলে দেশের ক্রমবিকাশমান গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এতে ভারত মহাখুশি হবে। বাংলাদেশে যদি আবার সেনাশাসন ফিরে আসে তার জন্য দায়ী হবেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন