ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৪

আরব নিউজের নিবন্ধ : ভোট দিতে কেউ আসেনি, কেউ না



সৌদি আরবের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ভোট দিতে কেউ আসেনি। 
নিবন্ধে বলা হয়, ‘গত রোববার বাংলাদেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং (ভোট দিতে) কেউ আসেনি। সত্যি কথা বলতে কি, বাস্তবেই কেউ আসেনি।’
গতকাল পত্রিকাটির ‘বাংলাদেশ ইজ ইন ট্রাবল’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে এই মন্তব্য করা হয়।
নিবন্ধে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ বিনা ভোটেই ১২৭টি সিট দখল করে নেয়। আর যে ১৪৭টি আসনে ভোট হয় সেখানে তারা পায় ১০৫ আসন। ফলে নতুন সংসদে এখন দুই-তৃতীয়াংশ আসনেরও বেশি এখন আওয়ামী লীগের দখলে। বাকি আসনগুলোতে জিতেছেন দলটির শরিক 
আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। কিন্তু (এই নির্বাচনের) কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।’
গাইন ডায়ারের লেখা নিবন্ধে বলা হয়, ‘নীতিগত কারণেই অনেক ভোটার ভোট দিতে আসেননি। অন্যদের না আসার কারণ ছিল সহিংসতা-ভীতি। শতাধিক নির্বাচনী কেন্দ্রে (প্রকৃতপক্ষে ৫ শতাধিক) আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং গত দুই মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে।’ 
এতে বলা হয়, ‘এই পরিণাম অত্যন্ত বিস্ময়কর। কারণ, ১৭ বছর আগে শেখ হাসিনা সেই জুতার ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন যে জুতা এখন খালেদা জিয়া পরছেন। তখন বিএনপি ভোটে কারচুপি করেছিল আর আওয়ামী লীগ বয়কট করেছিল। শেখ হাসিনার অবশ্যই জানা উচিত যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন ঠিক সেভাবেই উত্তর দেবেন যেভাবে তিনি দিয়েছিলেন।’ 
নিবন্ধে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা তা জানেন এবং এক প্রকারে তিনি তা করেও ফেলেছেন। এর মানে হলো তাকে বিক্ষোভ দমনে কঠোর হতে হবে এবং তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নতুন নির্বাচনের দাবি মানবেন না। এই ফর্মুলায় চললে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং শেষাবধি সামরিক অভ্যুত্থান হবে। কাজেই সঙ্কটে আছে বাংলাদেশ।’
নিবন্ধে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে আবার প্রতিহিংসার নিয়ে ফিরে এসেছে অতীত। অথচ গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে জন্মহার কমেছে এবং সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার হার বেড়েছে। গড় আয়ু এখন প্রায় ৭০ বছর এবং ১৯৭৫ সালের পর গড় আয় দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদহীন ১৬ কোটি মানুষের দেশটি খারাপ নেই। অথচ দেশটির আয়তন ইংল্যান্ড, নিউইয়র্ক রাজ্য, মালাউ অথবা জর্ডানের সমান। তবে এই বর্ণনা এখন বদলে যাচ্ছে। সমস্যা রাজনীতিতে। ’
সুত্রঃ আরব নিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন