সাতক্ষীরা নিউজ: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম
সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার মানুষ আইলা-সিডরের তান্ডব শেষ করে মাথা উঁচু
করে দাড়াবার আগেই নেমে এসেছে সরকারের জুলুম নির্যাতন হামলা ও মামলা।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সাড়াশি হামলায়
গোটা জেলা জুড়ে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। সর্বত্রই মানুষের মাঝে বিরাজ করছে
এক অজানা আতঙ্ক। বসতবাড়ি হয়েছে পুরুষ শুন্য। এতেও নারী ও শিশুরাও রক্ষা
পাচ্ছে না সরকারি বাহিনীর রষানল থেকে। সার্বক্ষনিক মানুষের ভেতর আতংক বিরাজ
করে, কখন যেন আবার যৌথবাহিনী আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের নিয়ে হানা
দেয়। প্রতিনিয়ত সন্তান মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে আর হয়তবা ফিরে আসবে না
বলে। এসবের মধ্যে দিন কাটছে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষের। হামলা, ভাংচুর ও
অগ্নিসংযোগ সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলার নিত্যদিনের ঘটনা।
গত ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন
মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায়ের পর থেকে গত
১১ মাসে (১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সাতক্ষীরা জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে ৩৩ জনকে। এ জেলা
সদর থেকে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, আশাশুনি, তালা ও কলারোয়া উপজেলা
বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সীমাহীন
অপরাধের বলি হচ্ছে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। জেলার
বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের পাশাপাশি
আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা অব্যাহত রেখেছে। অনেক স্থানে জনতার
প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জনতার
প্রতিরোধে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আস্তানা যখন তছনছ হয়ে যায়, তখন তারা সরকারের
বিভিন্ন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় কমান্ড স্টাইলে যৌথভাবে হামলা
চালাচ্ছে। পুলিশের সাথে তারা সহযোগী হয়ে এসব হামলায় যোগ দিচ্ছে। কোন কোন
অপারেশনে পুলিশের অস্ত্রও বহন করতে দেখা যাচ্ছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের
নেতাকর্মীদের।
অভিযোগ রয়েছে, দেশের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা হওয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র
থেকে অস্ত্র এনে তা বিরোধীদল দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসএফ ও বিজিবি
অস্ত্র সরবরাহকারীদের সহায়ক শক্তি হিসাবে ভূমিকা রাখছে। সবমিলিয়ে
সাতক্ষীরার মানুষ এক অজানা গন্তব্যের মধ্যে বসবাস করছে।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট আজিজুর রহমান জানান,
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আনারুল ইসলামের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে যৌথবাহিনী। তারা বুলড্রোজার দিয়ে তার
বসতবাড়ি ভাংচুর করে। এর আগে সোমবার রাতে শ্যামনগর উপজেলায় যৌথবাহিনী অভিযান
চালায়। এসময় তারা খানপুর বাজারে আব্দুর রশিদের চায়ের দোকান ভাংচুর করে।
একই সময় তারা খানপুর জামে মসজিদে প্রবেশ করে মসজিদের মাইক ও ব্যাটারী
ভাংচুর করেছে। একই দিন সোমবার ভোর ৫টায় জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা
আমীর সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের খলিলনগর বাড়িতে। এসময় বাড়িতে তাকে
না পেয়ে তার দোতলা ভবন বুলড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে
ভবনটি এক পাশে হেলে পড়েছে। এবং বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। এর আগে সকালে তার
বাড়ি-ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম,বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও ১২ ভরি সোনার
গহনাসহ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ আব্দুল
খালেক। এছাড়া মাওলানা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফফারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও
আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের ভাদড়া
গ্রামের সদর (পশ্চিম) জামায়াতের আমীরের বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
তাকে বাড়ি না পেয়ে তার বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার
বাড়িতে রক্ষিত ধানের গোলা ও আসবাব পত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর জেলা নায়েবে
আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে তারা। এখানে তাকে না পেয়ে তার
বাড়ির দরজা-জানালা ভাংচুর করে। সদর (পশ্চিম) জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা
শাহাদাৎ হোসেনের গদাঘাটা গ্রামের নিজবাড়িতে যৌথবাহিনী হানা দেয়। এসময় তারা
তাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির দরজা-জানালা ভাংচুর করে। এছাড়া মাওলানা শাহাদাৎ
হোসেন, দেবহাটার জিয়াউর রহমান, আশাশুনির আফসার উদ্দিন খান, বুধহাটার শীষ
মোহাম্মদ জেরী, রবিউল ইসলাম, আবুল কালাম, কালিগঞ্জের মোসলেম উদ্দিন, আব্দুল
ওহাব সিদ্দিকী, তালা উপজেলার গাজী সুজায়েত আলী, মাওলানা রেজাউল করীম,
পাটকেলঘাটার ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন, ইদ্রীস আলী, মাওলানা মোশাররফ হোসেন,
আব্দুল মালেক, এডভোকেট বারাসাত উল্লাহ আশরাফ বাবলা, কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর
গ্রামের মোশাররফ হোসেন, বাহারুল ইসলাম, কৃষ্ণপুর গ্রামের অধ্যাপক মোশররফ
হোসেনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বাড়ি থেকে মূল্যবান
আসবাব পত্র ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার
রাত ১২টার দিকে সদর ভোমরা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ ও বিজিবি। যৌথবাহিনীর
সদস্যরা স্থানীয় বিএনপি নেতা নুর ইসলামের বাড়ি ভাংচুর করে। একই সময়ে
বিএনপি-জামায়াত সন্ধেহে কোমরপুর, চৌধুরিপাড়া এলাকার মুসা, বাবরি এবং বাদেল
জেলের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ভাংচুর করা হয়, মনোয়ার হোসেনেরে
বাড়ি-ঘর। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ বিজির সাথে স্থানীয় আ’লীগ নেতারা এসব
বাড়িঘর ভাঙ্গতে সহযোগীতা করছে। সোমবার সকাল ৬টার দিকে যৌথবাহিনীর একটি
গ্রুপ দেবহাটার পারুলিয়া ও সখিপুর এলাকায় অভিযান চালায়। তারা উপজেলা
ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক সাকিল এর বাড়ি ভাংচুর করে। ভাংচুর করেছে পরুলিয়া
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর বিএনপি নেতা আব্দুল গফফার এবং তার ভাই বর্তমান
মেম্বর রফিকুল ইসলামের বাড়ি-ঘর। এছাড়া আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর
আবুবক্করসহ দুই নেতার বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে তারা।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলায় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর বিশেষ
অভিযানে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার
গভীর রাতে ৩৪ বিজিবি’র সিও লে. কর্নেল আনোয়ারুল আলমের নেতৃত্বে র্যাব,
পুলিশ, বিজিবি’র যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার শ্রীফলকাঠী ও খানপুর
গ্রাম থেকে ৬ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো শ্রীফলকাঠী গ্রামের আদম আলী গাজীর
পুত্র আব্দুল জলিল, জেহের আলী মোল্যার পুত্র মহাসিন আলী,খানপুর গ্রামের
আব্দুল মালেকের পুত্র আকতার হোসেন, আরশাদ আলীর পুত্র আব্দুল হামিদ, গহর আলী
চৌকিদারের পুত্র আরশাদ আলী, আকছেদুর রহমানের পুত্র আনিছুর রহমান। তাদেকে
শ্যামনগর থানা হাজতে রাখা হয়েছে। গভীর রাতে নিজবাড়ীতে ঘুমন্ত অবস্থায়
এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৮ অক্টোবর জামায়াতের নায়েবে আমীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন
মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায়ের পর থেকে গত
১১ মাসে (১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সাতক্ষীরা জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে ৩৩ জনকে। সর্বশেষ
নিহত হয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী গ্রামের
মোসলেম উদ্দিন। গত ২৮ ফেরুয়ারী সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আগরদাড়ির বাসিন্দা
শিবিরকর্মী ইকবাল হোসেন (তুহিন), বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জামায়াত কর্মী
মাহমুদুল হাসান, গাজীপুর ঘোনার ছনকার জামায়াত কর্মী রবিউল ইসলাম,
পায়রাডাঙ্গার শিবিরকর্মী শাহিন আলম, খানপুরের জামায়াত কর্মী সাইফুল্লাহ,
পুরাতন সা্তক্ষীরার জামায়াত কর্মী আব্দুস সালাম, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়ার
শষাডাঙ্গার শিবির কর্মী আলী মোস্তফা, ৩ মার্চ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার
রইচপুরের জামায়াতকর্মী মাহবুবুর রহমান, ৪ মার্চ কলারোয়া উপজেলার কামারখালীর
জামায়াত কর্মী আরিফবিল্লাহ ও তার ভাই জামায়াত কর্মী রুহুল আমীন, ৫ মার্চ
একই উপজেলার ওফাফাপুর গ্রামের জামায়াত কর্মী শামসুর রহমান, ১৬ জুলাই
শ্যামনগর উপজেলার শিবির কর্মী মোস্তফা আরিফুজ্জামান, কালিগঞ্জের রঘুরামপুর
গ্রামের জামায়াতকর্মী রুহুল আমীন, ২৫ অক্টোবর শ্যামনগরের জয়নগর গ্রামের
জামায়াত কর্মী শফিকুল ইসলাম, ৫ নবেম্বর পাটকেলঘাটার সরুলিয়ার জামায়াতকর্মী
আব্দুস সবুর, ২৭ নবেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিয়ালডাঙ্গার জামায়াত কর্মী
শামছুর রহমান, ২৫ নবেম্বর আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী
আতিয়ার রহমান, ৩ ডিসেম্বর দেবহাটা উপজেলার শিবিরকর্মী আরিজুল ইসলাম ও
গাজীরহাটের হাফেজ হোসেন আলী, ১৬ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানির
জামায়াত কর্মী জাহাঙ্গীর মোড়ল ও একই উপজেলার শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের জামায়াত
কর্মী সাহেব বাবু, ১৩ ডিসেম্বর কলারোয়া গোপিনাথপুর গ্রামের আজিজুর রহমান
আজুকে কুপিয়ে একই উপজেলার খড্ডবাটরার জজমিয়াকে কুপিয়ে, ৮ ডিসেম্বর জেলা সদর
উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের এজাহার আলী মোড়লকে (৪৫) পিটিয়ে, ৫
ডিসেম্বর রাত ৯টায় সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামকে গুলি করে,
৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায় কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়া শিমলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা
আলাউদ্দিন খোকনকে কুপিয়ে, ৩ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের মাহমুদপুর
এলাকায় গিয়াসউদ্দিন সরদারকে পিটিয়ে, ২১ নবেম্বর রাতে দেবহাটা উপজেলা
পারুলিয়া বাজারে আবু রায়হানকে কুপিয়ে, ২৬ নবেম্বর কলারোয়া উপজেলার
মীর্জাপুরে মাহমুদুর রহমান বাবুকে পিটিয়ে, ২৬ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার
শিবপুরে রবিউল ইসলামকে হরিশপুর এলাকায় কুপিয়ে, ১৩ আগস্ট দুপুরে গড়ানবাড়িয়া
এলাকায় আলমগীর হোসেনকে পিটিয়ে, ১৫ জুলাই সকাল ৯টায় দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নে
আব্দুল আজিজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় ২৩ জন স্থানীয় সাংবাদিক
নির্যাতনের শিকার ও অপহরন হয়েছে। অনেকে এলাকা ছাড়া। এরমধ্যে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি আলতাফ হোসেনকে আইন
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে গেলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত তার কোন
সন্ধান মেলেনি। এই সাংবাদিকের পরিবার-পরিজন রাজধানী থেকে শুরু করে যেখানেই
খবর পেয়েছে সেখানেই ছুটে গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত তার কোন সন্ধান না পাওয়ায়
এলাকার সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে আতংকের মধ্যেই। সর্বশেষ
মঙ্গলবার জামায়াতের ডাকা হরতাল ও ১৮ দলের অবরোধের সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি
তুলতে গেলে যৌথবাহিনীর সদস্যরা কদমতলা এলাকা থেকে দৈনিক প্রবাহের স্থানীয়
প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের ক্যামেরা কেড়ে নেয়। এছাড়া উপস্থিত আরো ৮/১০ জন
সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে এলাকা থেকে বের করে দেয়। এনিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের
মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এখানের একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করে
বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে জীবন হাতে নিয়ে। হুমকি আসছে, যা ঘটছে, তা
লিখলে চরম শিক্ষা নিতে হবে। লেখনির স্বাধীনতাও নেই এখানে। পত্রিকা ও টিভি
চ্যানেল দেখে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে
হুঙ্কার দিচ্ছে। মনে হচ্ছে আমরা কোন যুদ্ধ ক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে
এসেছি।
শ্যামনগরের প্রায় একশ’ বছর বয়স্ক মান্দার আলী গাজী হাউমাউ করে কাঁদতে
কাঁদতে বলেন, ১৯৭১ সালের পাক বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে পুলিশের
হামলা ভাংচুর ও লুটপাট। কখন যে আমাদের জীবন তারা কেড়ে নেবে তা আমরা জানি
না। খুলনা থেকে শ্যামনগর যেতে স্বাভাবিকভাবে একজনের ব্যয় প্রায় দুইশ’ টাকা।
কিন্তু সড়ক যোগাযোগের দুর্বস্থার কারণে রফিকুল ইসলামের ব্যয় হয়েছে প্রায়
এক হাজার টাকা। এ কথা বলে তিনি জানান, জীবন হাতে নিয়েই জরুরী কাজে গ্রামে
গেছি। ফিরে আসার কোন গ্যারান্টি নেই। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের তল্লাশীতে
নাজেহাল হতে হয়েছে বহুবার। নিজের বাড়িতে যেতে যে পরিমাণ বাঁধার সম্মুখীন
হতে হলো, তাতে মনে হচ্ছে আমি দেশের বাইরে কোথাও ভিন দেশী রাষ্ট্রের বাহিনীর
চেকিংয়ে পড়েছি। সবমিলিয়ে মনে হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা দেশের একটি বিচ্ছিন্ন
দ্বীপ।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন,
সাতক্ষীরার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য যৌথবাহিনী অভিযান
অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। সাংবাদিকদের
লাঞ্ছিত ও ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
http://satkhiranews.com/archives/26536
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স
লেবেল
- খবর
- মতামত- বিশ্লেষণ
- বিবৃতি
- রাজনীতি
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
- আন্তর্জাতিক
- প্রচ্ছদ
- আইনশৃঙ্খলা
- শোক সংবাদ
- বিবিধ
- স্মৃতি
- আইন-আদালত
- জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- শিক্ষা
- ডেমোক্রেসি
- ইসলাম
- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- ইসলামী আন্দোলন
- সাহিত্য-সংস্কৃতি
- হাদীসের বাণী
- শীতবস্ত্র বিতরণ
- সভ্যতা
- ইতিহাস
- গল্প
- মিডিয়া
- শোকবাণী
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- IIUC News
- চিঠি
- কৃষি
- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- প্রবাস
- গবেষণা
- আবিস্কার
- কুরআন
- সম্পাদকীয়
- বাণী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- সাইবার ক্রাইম
- দারসুল কুরআন
- ব্রেকিং নিউজ
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩
রক্ত রঞ্জিত সাতক্ষীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও আ’লীগের ক্যাডারদের সাড়াশি হামলা থেকে নারী-শিশু বৃদ্ধরাও রক্ষা পাচ্ছে না
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন