ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

অবরোধ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি ডাঃ শফিকুর রহমানের আহ্বান

অবরোধ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করার পর প্রতিবাদের দৃশ্য দেখে সরকার বেসামাল হয়ে গণহত্যায় মেতে উঠেছে - ডাঃ শফিকুর রহমান সরকারের গণহত্যা, গণগ্রেফতার, গণনির্যাতনের প্রতিবাদে এবং প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ও অবৈধভাবে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্যে সরকার সুপরিকল্পিতভাবে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করে দেশে অব্যাহতভাবে গণহত্যা, গণনির্যাতন ও গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী এবং দলীয় নেতারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দেশে রক্তপাত ঘটাচ্ছে। সেই সাথে দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি যৌথবাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে সারাদেশে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটতরাজ চালাচ্ছে। তারা সাতক্ষীরা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। সরকার দলীয় ক্যাডারদের চলছে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই। গতকাল সরকারি দলের চাঁদাবাজদের হামলায় ঢাকা মহানগরীর মধ্যবাড্ডায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, যৌথ অভিযানের নামে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাতক্ষীরা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নীলফামারী, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জসহ প্রায় ৩৫টি জেলায় ধ্বংসাত্মক অভিযান চালাচ্ছে। সরকারের প্রতিহিংসা কত ভয়ানক হতে পারে তা বোঝা যায়, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীরের বাসভবন বোলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা থেকে। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ইতিপূর্বে কখনো সংঘটিত হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গতকাল সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল খলেকের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আবারো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার, সেক্রেটারি মাওলানা সাদাকাত আলী, দেবহাটা উপজেলার শফিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি ২য় বারের মত ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আফসার উদ্দিন, তালা উপজেলার এডভোকেট সুজাত আলীসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীর বাড়ি ব্যাপকভাবে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধরাও সরকারের এই হামলা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। গতকাল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলীতে নিহত হয়েছে জয়পুরহাটের এক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুর রহমান। সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ চলাকালে আহত হয়েছে দেড় শতাধিক ও গ্রেফতার হয়েছে ২ শতাধিক নেতা-কর্মী। ডা.শফিক বলেন, সরকার ভোটারবিহীন একতরফা পাতানো নির্বাচনের নাটক করতে গিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর নিকট মর্যাদাহীন দেশে পরিণত করেছে। ১৫৪টি আসনে নির্বাচন ছাড়াই প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করার নজির বিশ্বের কোন গণতান্ত্রিক দেশের ইতিহাসে শুধু নজিরবিহীনই নয়, হাস্যকরও বটে। এ থেকে সরকারের অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের পরিচয় ফুটে ওঠে। সরকারের রাজনীতি জনগণের কল্যাণের জন্য নয়। তাদের রাজনীতির লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসন ও দলীয় নেতাদের প্রতিষ্ঠা করা। তাদের রাজনীতি হচ্ছে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের। সরকার একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে বিচারের নামে আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকার তা অগ্রাহ্য করে বিশ্ববাসীকে অসম্মানিত করেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে গিয়ে বিশ্ববাসীর নিকট বাংলাদেশের যে সুনাম ও মর্যাদা অর্জন করেছিল সরকারের ভূমিকায় তা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করার পর বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী এ মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদের দৃশ্য দেখে সরকার বেসামাল হয়ে গণহত্যায় মেতে উঠেছে। বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। যুবলীগের ক্যাডার আব্দুল গাফ্ফার সাতক্ষীরায় হিন্দুদের বাড়িতে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। তাকে ১ বছরের কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত সোমবার সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা মাগুরায় হিন্দুদের ৬ টি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ১৫টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের যে সহাবস্থান ও সম্প্রীতির পরিবেশ বিদ্যমান ছিল, এ সরকার তা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ডা.শফিক বলেন, সরকার তার আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, তারা খুনি, গণহত্যাকারী, অত্যাচারী। তাদের সকল কর্মকা- অবৈধ ও গণবিরোধী। দেশ, জাতি, গণতন্ত্র, সংবিধান, মানুষের জান-মাল, কোন কিছুই এ সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। তাই দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। জনতার প্রতিরোধে সরকার কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজে কাউকে ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে দেশে আরো রক্তপাত ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। সরকারের উস্কানি, নির্যাতন চরম ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে চলমান গণআন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করে সরকারের পতন নিশ্চিত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারের গণত্যা, গণগ্রেফতার, গণনির্যাতনের প্রতিবাদে এবং প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট কর্তৃক ঘোষিত দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার সড়ক, নৌ, রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আগামী শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত পালন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন