ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

আ'লীগের ৫ বছর : খুন ২১ হাজার রাজনৈতিক হত্যা ১ হাজার ৩৩০ বিচারবহির্ভূত হত্যা

আ'লীগের ৫ বছর : খুন ২১ হাজার রাজনৈতিক হত্যা ১ হাজার ৩৩০ বিচারবহির্ভূত হত্যা ৭৭৫ সাংবাদিক খুন ১৮ গণপিটুনিতে নিহত ৭২০ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ৫ বছরের শাসনামলে (জানুয়ারি ২০০৯- ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত) দেশে ২০ হাজার ৬৯৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক হত্যার শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৩৩০ জন। এছাড়া এ সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৭৭৫ জন। বেসরকারি সংস্থা অধিকার, সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এমআরটি) ও বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খুন ২০৬৯৩ সরকারের ৫ বছরে সারা দেশে খুনের ঘটনা ঘটেছে ২০ হাজার ৬৯৩টি। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১২ জন খুন হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সালে সারা দেশে ৪ হাজার ২১৯ জন, ২০১০ সালে ৩ হাজার ৯৮৮ জন, ২০১১ সালে ৩ হাজার ৯৬৬ জন, ২০১২ সালের ৪ হাজার ৪১১৪ জন এবং ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৪০৬ জন খুন হয়েছেন। একনজরে খুন ২০০৯ সালে ৪২১৯ জন ২০১০ সালে ৩৯৮৮ জন ২০১১ সালে ৩৯৬৬ জন ২০১২ সালে ৪১১৪ জন ২০১৩ সালে ৪৪০৬ জন রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৩৩০ জন সরকারের ৫ বছরে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৩৩০ জন। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ২২ জনেরও অধিক রাজনৈতিক সহিংসতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৮৩ জন। প্রতিদিন গড়ে ৪৪ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। শুধু আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হয়েছেন ১৭৮ জন। অধিকার-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৫ নভেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৪৯ জন নিহত এবং ৪৮৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। একনজরে ২০০৯ সালে ২৫১ জন ২০১০ সালে ২২০ জন ২০১১ সালে ১৩৫ জন ২০১২ সালে ১৮৪ জন ২০১৩ সালে ৫৪০ জন ক্ষমতাসীনদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত ১৭৮ জন ২০০৯ সালে ৩৮ জন ২০১০ সালে ৩৮ জন ২০১১ সালে ৩৮ জন ২০১২ সালে ৩৯ জন ২০১৩ সালে ২৫ জন ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডারা নিজ সংগঠনের নেতা যুবায়েরকে হত্যা করে। সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে রাজধানীতে বিরোধীজোটের অবরোধের সময় ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ। বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ৭৭৫ সরকারের ৫ বছরে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৫ জনের। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১৩ জন বিচার-বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪০৪ জন কথিত ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা ও হামলা ছিল লক্ষ্যণীয়। বিশেষ করে বিগত বছরের প্রথম ও শেষ দিকে অধিক পরিলক্ষিত হয়। আর ২০১৩ সালে এসে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধু ২০১৩ সালেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬৭ জনের। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বিরোধী জোটের পূর্বঘোষিত মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি রাজশাহীতে ১ জন নিহত হন। ৬০টি ঘটেছে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। দেশ জুড়ে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিলে পুলিশের নির্বিচারে গুলি বর্ষণে এসব লোক মারা যান। অধিকার-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৫ নভেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৯ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই বিরোধীদলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষ। একনজরে ২০০৯ সালে ১৫৪ জন ২০১০ সালে ১২৭ জন ২০১১ সালে ৮৪ জন ২০১২ সালে ৭০ জন ২০১৩ সালে ৩৪০ জন গণপিটুনিতে নিহত ৭২০ সরকারের ৫ বছরে সারা দেশে গণপিটুনিতে নিহত হন ৭২০ জন। সে হিসেবে প্রতি মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু ঘটেছে ১২ ব্যক্তির। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতার কারণেই আইন হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা লক্ষ্যণীয়। গণপিটুনিতে সাভারে ৬ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা স্মরণ করে এখনো আঁতকে ওঠেন অনেকে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সন্দেহভাজনদের আটক করে, পরিবেশ তৈরি করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটেছে এ সময়। একনজরে গণপিটুনি ২০০৯ সালে ১২৭ জন। ২০১০ সালে ১৭৪ জন। ২০১১ সালে ১৬১ জন। ২০১২ সালে ১২৬ জন। ২০১৩ সালে ১৩২ জন। ১৮ সাংবাদিক খুন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শাসনামলের ৫ বছরে ১৮ সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এসময়ে আক্রমনের শিকার হয়েছেন ১৩৮৯ জন। এর মধ্যে ৮২২ জন সাংবাদিক আহত, ২৬৭ জন লাঞ্ছিত ও ৩০০ জন হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। ২০১৩ সালে খুন হয়েছেন ১ জন ২০১২ সালে খুন হয়েছেন ৫ জন ২০১১ সালে খুন হয়েছেন ৪ জন ২০১০ সালে খুন হয়েছেন ৪ জন ২০০৯ সালে নিহত হয়েছেন ৪ জন প্রায় ২১ হাজার হত্যাকাণ্ডের মধ্যে আলোচিত কয়েকটি- সাগর-রুনি হত্যা ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকায় যুবলীগ নেতা ইব্রাহীম হত্যা যাত্রাবাড়ীতে ব্যবসায়ী দম্পতিসহ ট্রিপল মার্ডার গুলশানে বাসায় ঢুকে মা ও মেয়েকে গুলি করে হত্যা মগবাজারে যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী সরদার হত্যা খিলগাঁওয়ে প্রকৌশলী হত্যা মহাখালীতে কর্মচারী নেতা সিদ্দিকুর রহমান হত্যা খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ কণিকা হত্যা মিরপুরে ইডেন কলেজের ছাত্রী মেনকা হত্যা স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান হত্যা। ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ড নারায়ণগঞ্জে ত্বকি হত্যাকাণ্ড যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যাকাণ্ড স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তা খুন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা খুন ডা. মাকলুকুর রহমান হত্যাকাণ্ড গোপীবাগে ছয় খুন সাংবাদিক আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ড

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন